মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে অসহ্য হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে এসে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা বুধবার নাইক্ষ্যংছড়িতে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ তথ্য জানান।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রোহিঙ্গাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোন লিখিত নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
রোহিঙ্গদের বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসার ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা ব্যাপক হারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীসমূহের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনার ১২ দিন পর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তের জিরো লাইনে অপেক্ষমাণ রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন করেছেন। এ উপলক্ষে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা টিটিসি হলে আয়োজিত সমাবেশে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলার সময় এ বিষয়ে সরকারের সর্বশেষ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সারওয়ার কামাল, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বাহাদুর উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিকেল ৩টায় সীমান্তের জিরো লাইনে যান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘটিত ঘটনার সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা শোনেন।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারও উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, রোহিঙ্গাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।