মার্গারেট থ্যাচারের ‘শক্তিশালী’ বক্তব্যের নেপথ্যে

সারাবিশ্ব
image_155619.o-margaret-thatcher-speech-570‘লৌহমানবী’ খ্যাত ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী  মার্গারেট থ্যাচার তার বক্তব্যকে যেন আরও কর্তৃত্বপরায়ন করে তোলা যায়, সেজন্য অনুশীলন করেছিলেন। এখন নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য তার বক্তব্য নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা তার বক্তব্যের বেশকিছু বিষয় নিয়ে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। এক্ষেত্রে গলার স্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে।
গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৬১জন শিক্ষার্থীকে থ্যাচারের বক্তব্য দুইভাবে পড়তে বলা হয়। প্রথমবার তারা উচ্চ-অবস্থানের ব্যক্তি হিসেবে বক্তব্যগুলো পড়েন। দ্বিতীয়বার তারা নিম্নপর্যায়ের ব্যক্তি হিসেবে বক্তব্যগুলো পড়েন।
গবেষণায় দেখা যায়, ইতিবাচক শক্তি যোগ হলে তা মানুষের কথা বলার ধরনকে পরিবর্তিত করে।
মার্গারেট থ্যাচারের গলার শব্দ ছিল কম, যা তিনি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিখেছিলেন। কিন্তু গবেষণায় থ্যাচারের মতো করে যাদের বক্তব্যগুলো উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়, তাদের গলার শব্দ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে থ্যাচারের বক্তব্য অন্যদের থেকে যে ভিন্ন, তা উঠে আসে।
গবেষণার বাকি অর্ধেকে পৃথক স্বেচ্ছাসেবকদের থ্যাচারের রেকর্ডকৃত বক্তব্য শুনতে দেওয়া হয়। এতে তার গলার স্বরের পরিবর্তন লক্ষ্য করা হয়।
গবেষণার ফলে জানা যায়, আমরা যে স্বরে কথা বলি তা অন্যদের আমাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করে।
গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স’ জার্নালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *