সোমবার অনুষ্ঠিত ওই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় ১১ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সমাবেশে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমার সরকারের নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানানো হয়। গ্রোজনি’র বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকের হাতে ‘মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ কর’, ‘রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা বন্ধ কর’ ও ‘মিয়ানমারের মুসলিম হত্যা বন্ধ কর’ সম্বলিত ব্যানার ও পোস্টার দেখা যায়। চেচনিয়ার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গ্রোজনির কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহরের নামাজের পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশি তল্লাশি টৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সশস্ত্র হামলায় ১২ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন কঠোর অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানে নারী, শিশুসহ এখন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত কয়েকদিনের সহিংসতায় রাখাইনে অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।