নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের বুড়িরচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ধানীসাফা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন (দুলাল) নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকালে তুষখালী বাজারে একটি ওষুধের দোকানের সামনে হাবিবুর রহমান তালুকদার বসে ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে ধানীসাফা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ইদ্রিস তালুকদারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন লোক তাঁকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার বিকেলে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মালেকা বেগম স্থানীয় থানায় নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই রাত পৌনে ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে গিয়ে তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে টয়লেটের পাশে তাঁর লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ছেলে হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, ফুটবল খেলা নিয়ে ইদ্রিস তালুকদারের ভাইয়ের ছেলে সাইফুল তালুকদারের সঙ্গে হাফিজুর রহমানের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ইদ্রিস তালুকদার ও তাঁর ভাই ফারুক তালুকদারের পরিবারের সঙ্গে হাবিবুর রহমান তালুকদারের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ইদ্রিস তালুকদার ও তাঁর দুই ছেলে রুম্মান ও রাজীব পলাতক রয়েছেন। ইদ্রিস তালুকদারের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া পাওয়া গেছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চিহ্ন ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।