লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ;
দ্বিতীয় দফা বন্যায় কৃষিভিত্তিক অঞ্চল বলে খ্যাত রংপুর অঞ্চলে বিধবস্ত মানুষের মুখে ঈদের হাসি নেই। হাসি কেড়ে নিয়েছে এবারের রাক্ষুসে বন্যা। তাই ঈদের আনন্দ নয়, ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঘুরে দাঁড়ানোর যুদ্ধে নতুন করে কোমড় বেধে আবাদ লাগানোসহ বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, বন্যাকবলিত এলাকায় বিভিন্নজন দু’চার কেজি শুকনো খাবার আর দু-চারশ টাকা দিচ্ছে এতে কোন কোন পরিবারে একদিনের খাবার হচ্ছে না। তাই সাময়িক দিয়েই হাত গুটিয়ে থাকা নয়, ক্ষতিগ্রস্তদের আবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্থায়ী সমাধানের জন্য অনুরোধ তাদের।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে মৎস চাষের দিকে ঝুঁকছিলেন অনেক মানুষ। কিন্তু বন্যায় কৃষকের পাশাপাশি কোমড় ভেঙে গেছে শিক্ষিত তরুণসহ বিভিন্ন বয়সের উদ্যোক্তার। যারা দেশের বিভিন্ন বিশ্বিবিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে চাকরির পেছনে না ঘুরে চেষ্টা করেছেন ঘুরে দাঁড়াতে, চাকরি দিতে। কিন্তু চোখের সামনে সব ভেসে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে সব স্বপ্ন, সব আশা।
রংপুর মৎস বিভাগের উপ-পরিচালক রকিব উদ্দিন বিশ্বাস এর মতে, এবারের বন্যায় আট জেলায় ভেসে গেছে ৮৯ হাজার ৫৫৬টি পুকুর, দীঘি, খামার, বিলের পোনা ও মাছ। যার বাজার মূল্য ৩০০ কোটি টাকা। তাই ঈদ আনন্দ বা উৎসব নয় নতুন করে বাঁচার জন্য জীবিকা নির্বাহের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন তারা। হয়েছেন দিশেহারাও। তাদের দাবি সরকারের সহযোগিতা।