কাল ১০ জিলহজ। পবিত্র ঈদুল আজহা। সারা দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হবে মুলমানদের অন্যতম বৃহত্ এ ধর্মীয় উত্সব। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে কোরবানির প্রচলন হয়।
ঈদ উদযাপনে মঙ্গলবার থেকেই বাড়ি ফেরা শুরু করেছে অনেকে। বাড়ি ফেরার সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদ উদযাপন যাতে নির্বিঘ্ন হয়, সেজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঈদ উপলক্ষে আজ থেকে রোববার পর্যন্ত তিনদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। ঈদের দিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
ঈদের দিন সকাল ৮টায় দেশের প্রধান ঈদ জামাত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টা, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টা এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমটি সকাল ৮টা ও পরেরটি অনুষ্ঠিত হবে ৯টায়। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৪০৯টি স্থানে ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এ জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন ও বাস সেবা চালু করা হয়েছে।