গ্রাম বাংলা ডেস্ক
ঢাকা: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ‘মুখোশ উন্মোচন’ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। একই সঙ্গে টিআইবিকে দেখে নেয়া হবে বলে বলেছেন তিনি।
দুদক কমিশনার চুপ্পু বলেন, টিআইবি বিদেশ থেকে টাকা এনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে তথাকথিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের এসব কাজের স্বচ্ছতা কী? সময় আসলে টিআইবির মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রেষ্ঠ মহানগর-জেলা-উপজেলা প্রতিরোধ কমিটির অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
টিআইবির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ইদানীং আমাদের ওপর একটা ওয়াচডগ ভর করেছে। সেটা টিআইবি। আমাদের কোনো কাজই তাদের পছন্দ না। আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা না করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমালোচনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি বলেন, অথচ তারা দেখছে না, আমরা বড় বড় দুর্নীতিবাজদের জেলে পাঠিয়েছি। এমএলএম কোম্পানির নামে সাধারণ মানুষ যেখানে প্রতারণার শিকার হতো, তা থেকে জনগণ অনেকটা মুক্ত। এমএলএম কোম্পানির রাঘববোয়ালদের আমরা শাস্তির আওতায় আনতে পেরেছি।
টিআইবির উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে চুপ্পু বলেন, আপনারা আমাদের এ সব সফলতার বিষয়ে তো কোনো প্রশংসা করেন না! কেন? উল্টো বলছেন, আমরা পক্ষপাতমূলক কাজ করছি। আমরা তো সরকারি দলের লোকদের বিষয়েও অনুসন্ধান করছি।
টিআইবির উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, দয়া করে আর নেতিবাচক প্রচারণা চালাবেন না।
চুপ্পু বলেন, ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত দুদক ছিল একটি অথর্ব প্রতিষ্ঠান। এরপর ওয়ান ইলেভেনের সময় এ সংস্থাটিকে একটি বিশেষ গোষ্ঠী ব্যবহার করেছে। বর্তমানে সব বলয় ও প্রভাব থেকে এখন মুক্ত দুদক।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচারের টাকা ফেরত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ টাকা আমাদেরকে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এ টাকাগুলো আমরা এখনও পাইনি।
এ টাকা দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য ফিরিয়ে দিতে তিনি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, চ্যানেল আইয়ে পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন দুদক সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়।