বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে বন্যায় ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বৃটিশ সংস্থা অক্সফাম। তারা বলেছে, ১৯৮৮ সালের বন্যার পর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে বাংলাদেশের অনেক স্থানে। সারাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত, নেপালেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের এ তিনটি দেশে বন্যায় মারা গেছেন কমপক্ষে ১২০০ মানুষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এবিসি। এতে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে হরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। এই বন্যায় দেখা দিয়েছে অনেক স্থানে ভূমিধস। বাণের পানি ভাসিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার ঘরবাদি। পানির নিচে পচে মাটিতে মিশে গেছে কৃষকের স্বপ্ন, বেঁচে থাকার অবলম্বন। জাতিসংঘের হিসাবে এবার এই বন্যায় এ অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছে কমপক্ষে ৪ কোটি মানুষ। ভারতের অর্থনীতির রাজধানী হিসেবে পরিচিত মুম্বইয়ে ভারি বর্ষণে সর্বশেষ মারা গেছেন ১৪ জন। তার মধ্যে রয়েছে দুটি শিশুও। এতে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে বাড়িঘর। যান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে অনেক গ্রাম এখনও পানির নিচে। সেকানে দিনের পর দিন মানুষ বসবাস করছে আশ্রয় শিবিরে। ফসলি জমি নিঃশেষ হয়ে গেছে। মুম্বইয়ে বৃষ্টির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়। আরো ভারি বর্ষণের পূর্বাভাসে সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার দিনশেষে মুম্বইয়ে ট্রেন ও বিমান চলাচল শুরু হয় নতুন করে।