২০-দলীয় ঐক্যজোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাঁর দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ জন্য সরকারকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সরকার গুম-অপহরণকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে গত নয় দিনে নিখোঁজ আরও চারজনের মধ্যে তিনজনের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি। এরা হলেন বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশে বেলারুশের অনারারি কনসাল অনিরুদ্ধ কুমার রায় এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশরাক আহমেদ। ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়কে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
আইএফআইসি ব্যাংকের এভিপি শামীম আহমেদ গত সোমবার রাতে ফিরে এসেছেন। তবে কে বা কারা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে আমিনুরের সন্ধান দাবি করে আজ বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে কল্যাণ পার্টি। দলটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ ২০ দলের নেতারা অংশ নেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকার কিলিং মিশনে ব্যবহার করছে দাবি করে রিজভী আহমেদ বলেন, দেশটা গুম রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সরকারের মদদে আজ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা-গুম-খুনের মাধ্যমে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমিনুর রহমানের মতো একজন নিরেট ভদ্র নেতা যেখানে গুম হয়ে যায়, সেখানে দেশের ভবিষ্যৎ কী?
এদিকে এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রক্ষমতা জবরদখলকারীরাই কল্যাণ পার্টির মহাসচিবকে গুম করেছে। ওত পেতে থাকা গুপ্তবাহিনী তাঁকে কোথায় উঠিয়ে নিয়ে গেছে তা কেউ জানে না। বর্তমান সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অমানবিক ঘটনা দেশে-বিদেশে সর্বত্র জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। অথচ এসব অভিযোগকে থোড়াই কেয়ার করছে সরকার। দেশে এখন আদিম হিংস্রতা বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই দেশকে গুম, খুন, অপহরণ, গুপ্তহত্যার লীলাভূমিতে পরিণত করেছে বর্তমান গণবিরোধী সরকার।’
২০-দলীয় ঐক্যজোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাঁর দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ জন্য সরকারকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সরকার গুম-অপহরণকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে গত নয় দিনে নিখোঁজ আরও চারজনের মধ্যে তিনজনের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি। এরা হলেন বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশে বেলারুশের অনারারি কনসাল অনিরুদ্ধ কুমার রায় এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশরাক আহমেদ। ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়কে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
আইএফআইসি ব্যাংকের এভিপি শামীম আহমেদ গত সোমবার রাতে ফিরে এসেছেন। তবে কে বা কারা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে আমিনুরের সন্ধান দাবি করে আজ বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে কল্যাণ পার্টি। দলটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ ২০ দলের নেতারা অংশ নেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকার কিলিং মিশনে ব্যবহার করছে দাবি করে রিজভী আহমেদ বলেন, দেশটা গুম রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সরকারের মদদে আজ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা-গুম-খুনের মাধ্যমে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমিনুর রহমানের মতো একজন নিরেট ভদ্র নেতা যেখানে গুম হয়ে যায়, সেখানে দেশের ভবিষ্যৎ কী?
এদিকে এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রক্ষমতা জবরদখলকারীরাই কল্যাণ পার্টির মহাসচিবকে গুম করেছে। ওত পেতে থাকা গুপ্তবাহিনী তাঁকে কোথায় উঠিয়ে নিয়ে গেছে তা কেউ জানে না। বর্তমান সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অমানবিক ঘটনা দেশে-বিদেশে সর্বত্র জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। অথচ এসব অভিযোগকে থোড়াই কেয়ার করছে সরকার। দেশে এখন আদিম হিংস্রতা বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই দেশকে গুম, খুন, অপহরণ, গুপ্তহত্যার লীলাভূমিতে পরিণত করেছে বর্তমান গণবিরোধী সরকার।’
পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘স্বাধীন দেশে নাগরিকেরা হারিয়ে যাবে, এ জন্য লাখো প্রাণের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। যারা জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়, তারাই গুম-খুন-অপহরণকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে গ্রহণ করে।’
অনিরুদ্ধকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
বাংলাদেশে বেলারুশের অনারারি কনসাল ও আরএমএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। ওই সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, একদিকে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রচারণা আরেক দিকে সংখ্যালঘুদের জায়গা-জমি দখল, উপাসনালয়ে হামলা, এমনকি দেশত্যাগের হুমকির পরিস্থিতির মধ্যে এ অপহরণের ঘটনা সংখ্যালঘুদের নিদারুণ উদ্বিগ্ন করেছে। এ ঘটনা এ দেশের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে ব্যবসায়ী মহলকে ত্রস্ত করে তুলেছে।