এসময় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইনে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলছে দাবি করে অনেককে কাঁদতেও দেখা যায়।রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় মুসলিম প্রধান মালয়েশিয়ায় প্রায় সময়েই ক্ষোভের জন্ম নেয় বলে জানিয়েছে, বার্তা সংস্থা এএফপি। বুধবার প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী কুয়ালালামপুরের একটি প্রধান সড়কের কাছে সমবেত হয়ে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের কাউকে কাউকে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ কর’ এবং ‘রোহিঙ্গাদের হেফাজত করো’ শীর্ষক ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকলেও মালয়েশীয় পুলিশ অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে প্রায় ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে তুলনামূলক আরেকটু ছোট একটি জমায়েত নিয়ে একদল বিক্ষোভকারী মিয়ানমারের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ আজমি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে মিয়ানমারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
গত ২৫ আগস্ট ভোররাত থেকে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রোহিঙ্গা অধিকার রক্ষা বিষয়ক সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘর্ষ হয়।
এ সংঘর্ষকে ঘিরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইন জুড়ে অভিযান শুরু করলে গত ছয় দিনে প্রায় ১১০ জন নিহত হয়। এছাড়া প্রাণ বাঁচাতে অন্তত সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যবেক্ষণ সংস্থা।