শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম বঙ্গোসাগরের উপকূলে ২ শিশুসহ ৪ জনের মৃতদেহ ভাসতে দেখেছে জেলেরা। এসব লাশ মিয়ানমারেরা রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে শাহপরীরদ্বীপের দু’টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৭৫ জন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছি বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্বদেশে ফেরতের অপেক্ষায় আছেন আরো ৩১৫ জন রোহিঙ্গা।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন খান জানান, শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম বঙ্গোসাগরের উপকূলে ২ শিশুসহ ৪ জনের মৃতদেহ ভাসার খবর পেয়ে টেকনাফ থেকে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসতে গিয়ে শাহপীরদ্বীপরের মাঝের পাড়া পয়েন্টে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় অন্যরা সাতারঁ দিয়ে কূলে উঠতে পারলেও এরা সাগরে ডুবে মারা যায়। এদিকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তে মিয়ানমারে ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছে ৩১৫ রোহিঙ্গা । যারা বুধবার ভোরে বাংলাদেশের লোকালয়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সীমান্তের নাফ নদী অতিক্রম করেছেন। তবে লোকালয়ে প্রবেশ করার আগেই বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের ধরে ফেলে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় শাহপরীর দ্বীপ ঘোলা পাড়া পয়েন্ট দিয়ে ৩৫ জন রোহিঙ্গা এবং জালিয়াপাড়া পয়েন্ট দিয়ে ৪০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের দিকে ফেরত পাঠিয়েছেন বিজিবি।
২ বিজিবি ব্যাটলিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভোরে বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে নাফ নদ পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কালে শাহপরীর দ্বীপ বিওপির বিজিবি সদস্যরা দুটি পয়েন্ট দিয়ে ৭৫ জন মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিমকে ঠেকিয়ে দিয়েছে। রাতেই এদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এ ছাড়া আটক করা হয় আরো ৩১৫ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে। এসব রোহিঙ্গাদের শুকনো খাবার ও পানি সরবরাহ করেছে স্থানীয়রা। তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।