হরিদেবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীরানির স্বামী জিতেন্দ্র দাস ২০১১ সালে মারা যান। বড় ছেলে জীবনকৃষ্ণ দাস ২০১২ সালে চিকিৎসার কথা বলে মাকে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে গিয়ে পৈতৃক বাড়ি ও সাড়ে তিন কাঠা জমি নিজের নামে জোর করে লিখিয়ে নেন। এরপরে জীবনকৃষ্ণ ওই বাড়ি থেকে ছোট ভাই বাসুদেবকে তাড়িয়ে দেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তারপর থেকেই আলিপুর দায়রা আদালতে মামলার বিচারপর্ব চলছে। এ দিন লক্ষ্মীরানির সাক্ষ্য ছিল।
লক্ষ্মীরানির মেয়ে শিখা বলেন, বড়দার (বড় ভাই) অত্যাচারে ওই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে ভাই। মা তার নিজের নামের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে মা খুবই অসুস্থ। আমি ও ভাই মাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিলাম। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে বাড়িতে নিয়ে আসি। সোমবার রাতে বড়দা মায়ের বাড়িতে গিয়ে প্রবল শাসানি দিতে থাকেন। আমি ওই সময়ে মায়ের কাছেই ছিলাম। মায়ের সমস্ত ওষুধ ফেলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নানা ভাবে হুমকি। ঘরে ঢুকে দাদা জিনিসপত্র উল্টে ফেলে দেন। আমরা রাতেই হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
মঙ্গলবার আলিপুর দায়রা আদালতে অ্যাম্বুলেন্সে করে লক্ষ্মীরানিকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তিনতলার বিচারকক্ষে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় ছিলেন না তিনি। বিচারক আগামী ২ সেপ্টেম্বর ফের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ঘোষণা করেছেন।
লক্ষ্মীরানি বলেন, আমি বড় ছেলেকে হাতজোড় করে অত্যাচার বন্ধ করতে অনুরোধ করেছিলাম। তা সত্ত্বেও আমার উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে। ছোট ভাই ও বিবাহিত বোনের উপরেও অত্যাচার করে চলেছে জীবনকৃষ্ণ।
লক্ষ্মীরানির মেয়ে শিখার অভিযোগ, ‘এলাকার বিভিন্ন দুষ্কৃতীর নাম করে আমাদের শাসানি দেওয়া হয়। আমরা এ নিয়ে একাধিকবার পুলিশে অভিযোগ করেছি। ‘
অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে হরিদেবপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়ে দেন।