সর্বশেষ মঙ্গলবার দুই রোহিঙ্গাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে মংডুর তুমব্রু এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে খালেদা আকতার (১৭) ও ডাংশার নেমাই এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে মামুনুর রশিদকে (১৯) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মামুনুর রশিদের মুখে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত রয়েছে।
এছাড়া গত সোমবার কক্সবাজার থেকে আনা হয়েছে মিয়ানমারের মংডু থানার দিয়াতলী এলাকার মো. আলীর ছেলে জোনয়েদ (১৫), একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জয়নাত উল্লাহ ও হোসেন আহমদের ছেলে খালেক হোসেনকে (২৭)। গত রবিবার দিনগত রাতে আনা হয় আগুনে পোড়া নুরুল হাকিম (২৬) ও পারভেজ (২০), গুলিবিদ্ধ মামুনুর রশিদ (২৭), সাকের (২৭), সাদেক (২০), জাহেদ (২০), নুরুল আলম (১৫), আবুল কাসেম (২০) ও নুরুল আমিনকে (২২)। একইদিন সকালে চমেকে আনা হয়েছিল আরও চার রোহিঙ্গাকে। এদের মধ্যে রয়েছেন জিয়াবুল (২৭), মো. ইলিয়াছ (২০), মো. তোহা (১৬) ও মোবারক হোসেন (২৫)।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক দিদার উল আলম, মায়ানমার ঘটনার পর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গারা পালিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ, আগুনে ঝলছে যাওয়াসহ অনেকেই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। গত কয়েকদিন ধরেই প্রায় ১৭ জনের উপরে চমেকে চিকিৎসা চলছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে কক্সবাজার ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মংডুর নাইছিদং গরিপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে গুলিবিদ্ধ সাইফুল আমিন (২৮), মগনামার আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৩০), বুচিদংয়ের মো. হাশিম (২২), ওসমান গণি (৩৩), জোবায়ের (৩২), হাকিম উল্লাহ এবং আহত শামসুল আলমের ছেলে হামিদুল হক (১১) ও সাবেকুর নাহার (৯)।