প্রকাশ্যে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইন রাজ্যে এক সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার দায় স্বীকার করেন তিনি।
আবদুল্লাহ বলেন, স্বপ্রণোদিত হয়ে নয় বরং আত্মরক্ষার স্বার্থে এ হামলা চালানো হয়েছে। খবর এশিয়া টাইমসের।মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী ওই হামলায় প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮০ জন বিদ্রোহী, ১০ পুলিশ সদস্য, একজন সেনা সদস্য ও একজন অভিবাসন কর্মকর্তা। এছাড়া ৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন।
আবদু্ল্লাহর দাবি, ‘ওই হামলার দু’দিন আগেই সেনাবাহিনী এআরএসএ’র ঘাঁটিতে আক্রমণে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। তাই আত্মরক্ষার্থে আগে থেকে পাল্টা হামলা ছাড়া আমাদের হাতে কোনো বিকল্প পথ ছিল না। ”
তিনি আরও দাবি করেন, উত্তর রাখাইনের তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান শহর মংডু এবং রাঢ়ড্যাং গ্রামের গ্রামগুলিতে সামরিক হামলা চালিয়ে তরুণ-তরুণীসহ ২৫ জনকে হত্যা করা হয়। তবে এশিয়া টাইমস এই দাবিটি নিশ্চিত করতে পারেনি।
২৮ আগস্ট সোমবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে এসব দাবি করে মুখপাত্র পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি। হামলার পরদিন ২৫ আগস্ট শুক্রবার হংকংভিত্তিক এশিয়া টাইমস আবদুল্লাহ’র বিশেষ এ সাক্ষাৎকারটি নেয়। তিনি নিজেকে এআরএসএ প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির মুখপাত্র হিসেবে দাবি করেন।