মানবিক বিপর্যয়ে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গারা

Slider নারী ও শিশু সারাবিশ্ব

Rohi-2

 

 

 

 

 

এক বস্তা মুড়ি আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ছেলে-বুড়ো সবাই। সীমান্ত পাড়ি দেয়ার ১০ ঘন্টা পর মিলছে শুকনো এ খাবার। তা্ই মান্য এক বাটি মুড়ির জন্য কাড়াকাড়ি। জীবনের অর্থ এখনও বুঝে উঠতে পারেনি কোলের শিশুরা। তারাও কাতর ক্ষুধার যন্ত্রণায়।

মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতায় প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা হাজারো রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন। খোলা মাঠে তাবুতে কোনো রকমে ঠাঁই হলেও দেখা দিয়েছে খাদ্য ও অর্থ সংকট। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শারিরীক দুর্বলতার কারণে।

নারী-শিশুদের কষ্ট দেখে স্থানীয় বান্দরবান ও কক্সবাজারের মানুষ সহায়তার দিলেও তা  নিতান্তই অপ্রতুল। এ অবস্থায় দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ক্ষুধায় দুর্বল হয়ে পড়ছেন, বয়স্করা ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছেন না। এর মধ্যেই চিন্তার ভাঁজ কপালে। ওপারে ফেলে আসা স্বজনদের জন্য ফেলছেন চোখের পানি।

সীমান্তে প্রতিদিন বাড়ছে আশ্রয়প্রার্থী মানুষের সংখ্যা। ক্রমেই আরও জঠিল হচ্ছে পরিস্থিতি। খাবারের সংকট বাড়ছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা এলাকাবাসী যেভাবে পারছি সাহায্য করছি। কিন্তু মানুষের তুলনায় তা খুবই অল্প।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেছেন, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাধ্যমতো সবকিছু করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *