হজপালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। মিনায় হাজিরা ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। এবং সেদিন ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন এবং সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করবেন।প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মিনা শহরে প্রায় এক লাখ তাবু খাটানো হয়েছে। তাবুগুলোতে হাজিদের যাত্রিযাপন এবং চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার। মিনার পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে মুহাসসার উপত্যকা ও জামারা আকাবা ও মধ্যবর্তী স্থান। আর উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে দু’পাশের সুউচ্চ দুটি পাহাড়।
৩০ আগস্ট সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক (হাজির হে আল্লাহ আমি হাজির) ধ্বনিতে প্রকম্পিত হবে আরাফাতের ময়দান। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে খুৎবা পাঠ করা হবে।
৩১ আগস্ট আরাফাতের ময়দানে অবস্থান শেষে সন্ধ্যায় মুজদালিফায় যেয়ে রাত্রিযাপন করবেন। এবং জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য ছোট ছোট কংকর সংগ্রহ করবেন।
মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন শেষে ১ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে ছোট ছোট কংকর নিয়ে পুনরায় মিনায় গিয়ে জামারায় অবস্থিত প্রথম স্তম্ভে কংকর নিক্ষেপ করে কোরবানি শেষে মাথা মুণ্ডিয়ে হালাল (ইহরাম খুলবেন) হবেন।
এরপর মক্কায় এসে তাওয়াফে জিয়ারত (তাওয়াফ ও সায়ি) শেষে আবার মিনায় যেয়ে জামারার(ছোট, মধ্যম ও বড়) স্তম্ভে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে হাজিদের। এটা হজের ওয়াজিব আমল।
মিনায় অবস্থান, কোরবানি, জামারার স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য মিনায় এই কয়দিন খুব ভিড় থাকে। মিনায় বাদশাহর বাড়ি, রয়েল গেস্ট হাউজ, মসজিদ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন অফিস রযেছে। এছাড়া মিনায় রেলস্টেশন আছে ৩টি।
এবছর বাংলাদেশ থেকে ১২৭,২২৯ জন বাংলাদেশি হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৬ জন।