বগুড়ার দুই উপজেলায় পানির নিচে ৫ হাজার হেক্টর খেত

এ দুই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শেরপুর ও শাজাহানপুরের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল, চোপীগর, খোট্টাপাড়া, মাদলা ও আড়িয়া ইউনিয়নে বন্যার পানি দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে এসব এলাকার বেশ কিছু রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা সোহেল মোঃ শামসুুদ্দিন ফিরোজ জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার একাংশসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ৪১টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ি, এ পর্যন্ত ৭৮০টি পরিবারের দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পৌরসভাসহ উপজেলার খামারকান্দি, খানপুর, সুঘাট ও সীমাবাড়ী ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান জানান, এ উপজেলায় তিন হাজার হেক্টর আমন, ফসলি জমি ও ১২০ হেক্টর সবজি খেত সম্পূর্ণভাবে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন জানান, যমুনা নদীর পানি কমলেও গাইবান্ধায় করতোয়া নদীর বাঁধ ধসে যাওয়ায় করতোয়ার পাশাপাশি বাঙালি নদীর পানি বাড়ছে। এই দুই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে এই কর্মকর্তা জানান।