কিন্তু অজি প্যাট কামিন্সের তোপের মুখে পড়ে দলীয় ১০ রানের তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তামিম-সাকিবের ১৫৫ রানের জুটির উপর ভর করে প্রথম ইনিংসে একটা সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করে মুশফিক বাহিনী। আর দিনের শেষ সেশনে নিজেদের স্পিন ঘূর্ণিতে অজিদের কাবু করে বিকালটা নিজেদের করে নিয়েছেন মিরাজ-সাকিব।টসে জয় দিয়ে শুরু। এরপর জয়টা ছিল অস্ট্রেলিয়া পেসারদের। দলীয় ১০ রানেই ফিরিয়ে দেন সৌম্য, ইমরুল ও সাব্বিরকে। এরপর দলের হাল ধরেন দুই টাইগার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ও সাকিব। তাদের ১৫৫ রানে জুটি ভাঙে দলীয় ১৬৫ রানে তামিমের আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে। ব্যক্তিগত ৭১ রানে ফিরে যান এই টাইগার ওপেনার।
তামিমের পথ ধরে স্কোরবোর্ডে ২৩ রান যোগ হতেই ফিরে যান সাকিবও। শতক থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে লিওনের বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর নাসিরকে নিয়ে ইনিংস বড় করার দায়িত্ব পড়ে মুশফিকের ওপর। দলের বিপর্যয়ে বরাবরই হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে এবার পারলেন না। চা বিরতির পর লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক। এরপর নাসিরের ২৩, মিরাজের ১৮ এবং শফিউলের ১৩ রানের ওপর ভর করে ৭৮.৫ ওভারে ২৫০ রানে থামে বাংলাদেশ। অজিদের হয়ে প্যাট কামিন্স, ল্যাথান লিওন ও অস্টন আগার প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৯ রানের মাথায় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরে পাঠিয়ে নিজেদের স্পিন আক্রমণ জানান দেন মিরাজ। এরপর দলীয় ১৪ রানে উসমান খাজা রান আউট হয়ে ফিরে গেলে ব্যাটিংয়ে নামে নাইটওয়াচ ব্যাটসম্যান লিওন। কিন্তু কোনো রানের খাতা খোলার আগেই তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন সাকিব। এরপর অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও রেনশো দিনের বাকি ৫টি বল ঠেকিয়ে প্রথম দিন পার করেন সফরকারীরা।