বাঁশিলা গুচ্ছগ্রামে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি ঢুকে সীমাহীন দুর্ভোগে ৩০ পরিবার। বন্যা কবলিত বাঁশিলা গুচ্ছগ্রামে এখন খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে। ত্রাণ সামগ্রীর সহযোগিতা পেলেও প্রয়োজনীয়তার তুলনায় অপ্রতুল।
রবিবার সরেজমিন বাঁশিলা গুচ্ছগ্রামে গিয়ে জানা যায়, আষাঢ়ের অবিরাম বর্ষণে সৃষ্ট জলবদ্ধতা ও কাদায় দুর্ভোগ শেষ হতে না হতেই আবার বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি ঢুকে ৩০ পরিবার সীমাহীন দুর্বীসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিগত ২০১১ সালে গুচ্ছগ্রাম (ক্লাইমেট ভিকটিম্স রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট) ভূমি মন্ত্রণালয় বাঁশিলা ৩০টি ভূমিহীন পরিবারের বসবাসের জন্য টিনের বেড়া, টিনের চালা তৈরি করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন। সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলেও ভূমিহীন ৩০ পরিবারের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আর কোন কাজ না করায় এ দুর্ভোগে পড়তে হয় প্রতিবছর। এ নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হলে স্থানীয় ইউএনও রেজা হাসান ও নাটোর অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বাঁশিলা গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শন করে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ও দুর্ভোগ মেকাবেলায় সকল ধরনের আশ্বাস দেন।
কিন্ত এবারের বন্যা পানি ঢুকে পড়ায় গুচ্ছগ্রামের ৩০ পরিবার বসবাসে আরেক দুর্ভোগে জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অসহায় ৩০ পরিবারে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটসহ গোবাদি পশু ও শিশুদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পরিবার গুলো। ত্রাণ সামগ্রীর সহযোগিতা থাকলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ উঠেছে। অসহায় ৩০ পরিবারের পুরুষ মানুষরা অধিকাংশ কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্ত বন্যায় চারদিক ডুবে যাওয়ায় গুচ্ছগ্রামের পুরুষ লোকেরা বেকার হয়ে পড়েছে।মাধনগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওর্য়াড সদস্য আব্দুল মালেক বেপারী জানান, এখন পযন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গুচ্ছগ্রামের ৩০ পরিবারের মাঝে ত্রাণের ৩০ কেজি চাল এমপির দেওয়া শুকনা খাবার ও কিছু আলু বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরোও জানান, নদীতীরে শক্ত একটি বাঁধ দিলে গুচ্ছগ্রাম বন্যায় আক্রান্ত আর হবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা হাসান জানান, গুচ্ছগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যক পরিবারে ত্রাণ সহযোগিতা অব্যহত রাখার চেষ্টা করবো।
নাটোরের নলডাঙ্গায় বন্যার পানি কমছে, বাড়ছে দুর্ভোগ
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনে বারনই নদীর ও হালতি বিলের বন্যার পানি ১২-১৫ সেন্টিমিটার পানি কমলেও বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ বাড়ছে।