তবে বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে। বগুড়া শহরের করতোয়া নদী সংলগ্ন নিচু এলাকায় পানি জমতে দেখা গেছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।জানা গেছে, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, ধুনট, সোনাতলা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নয়ন হলেও শেরপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শেরপুর উপজেলার পৌরশহরের ৩নং ওয়ার্ডসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও সবজির ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বাড়ি-ঘরে পানি উঠায় আশাপাশের বিদ্যালয় ও উচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে বানভাসীরা।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন জানান, যমুনা নদীর পানি কমলেও গাইবান্ধায় করতোয়া নদীর বাঁধ ধসে যাওয়ায় করতোয়ার পাশাপাশি বাঙালি নদীর পানি বাড়ছে। এই দুই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পৌরসভাসহ উপজেলার খামারকান্দি, খানপুর, সুঘাট ও সীমাবাড়ী ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামে নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব ঘোষপাড়াসহ এলাকার সিংহভাগ বাসা-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিমাই ঘোষ জানান, বন্যার্তরা আশাপাশের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তার ইউনিয়নের মাগুরতাইড়, ঘৌরদৌর, ঝাঁজর, বোয়ালকান্দি, ভাতারিয়া ও খামারকান্দি পূর্ব এলাকার ফসলি জমি ও সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়ি-ঘরেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যার শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু জানান, চলতি বন্যায় তার ইউনিয়নের গজারিয়া, বড়ইতলী, শালফা, শুভলী, পান্তাপাড়া, বোয়ালকান্দি চৌবাড়িয়া, শৈল্যাপাড়া, নলবাড়িয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দি।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান জানান, চলতি বন্যায় এই উপজেলায় শুক্রবার পর্যন্ত ২ হাজার ২৫৫ হেক্টর আমন ধান ও ৪৫ হেক্টর রকমারি সবজি ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।