‘আস্ক এ ম্যানেজার’ নামে এক কেরিয়ার ব্লগে নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, সিলভিয়া নামে একটি নারী সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। যেমন তেমন নয় বন্ধন বেশ দৃঢ়ই ছিল। তিন বছর একসঙ্গে ছিলেনও। কিন্তু সিলভিয়া চেয়েছিলেন সংসার পাততে। সেটেলড হতে। কিন্তু ওই সময় রাজি হননি ওই ব্যক্তি। অন্য চাকরি নিয়ে চলে যান বিদেশে। তড়িঘড়ি বিদেশ যেতে হয়েছে বলে প্রেমিকাকে জানাতেও পারেননি বলে অজুহাতও দেখিয়েছেন। সিলভিয়া তা মেনেও নিয়েছিলেন। অতএব বিচ্ছেদ। বেশ দীর্ঘদিনের। যে সম্পর্ক একসময় সংসার পাতার কথাও ভেবেছিল, তা একরকম নষ্টই হয়ে যায়। তবু সব শেষ হয় না। এই মহাবিশ্বে বোধহয় কোনো কিছুই হারায় না।
ওই ব্যক্তি জানান, এরপর প্রায় দশ বছর কেটেছে। যে প্রেমিকাকে একদিন তিনি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তিনিই আবার ফিরে এসেছেন তার জীবনে। না, এবার আর ব্যক্তিগত জীবনে নয়। বরং কর্মক্ষেত্রে। এখন একটি স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ওই ব্যক্তি। আর সে স্কুলের ডিরেক্টর পদে যিনি, তিনি সিলভিয়া। ওই ব্যক্তিরই সাবেক প্রেমিকা। সেদিন যদি চলে যাওযার সিদ্ধান্ত না নিতেন তাহলে আজ এই মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হত না তাকে।
কিন্তু ওই ব্যক্তি জানান, তিনি জানেন, যা একবার হারিয়ে যায় তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। অগত্যা এই পরিস্থিতি আপাতত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি জানিয়ে ব্লগে তিনি পরামর্শ চেয়েছেন। বেশকিছু পরামর্শ পেয়েছেনও। কিন্তু জীবনের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি তাকে যে একাকীই হতে হবে, এ বোধহয় তার থেকে ভাল আর কেউ জানেন না।