বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভোররাতে ব্যাপক ভারী গোলাগুলির শব্দে স্থানীয় জনসাধারণ আতংকিত হয়ে পড়েছে। এঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি জওয়ানরা সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয়। ওই ঘটনার জেরধরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এসময় দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক পূর্বক স্বদেশ ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশী বাসিন্দারা এতথ্য জানিয়েছে। এসময় তারাও হঠাৎ মুহুর্মুহু গোলাগুলির শব্দে আতংকিত হয়ে পড়েন বলে জানান। আতংকে মিয়ানমার থেকে সকালে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ১৪৬ জনের রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি সদস্যরা আটক করেছে। সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ভোররাতে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এর ফলে মিয়ানমারের আরকান রাজ্যের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে আসছে। বাংলাদেশে সীমান্তে ভিড় জমানো রোহিঙ্গাদেরকে সকাল ১১টার দিকে বিজিবির সদস্যরা উলুবনিয়া সীমান্তের ঝাউবাগান পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে। এদিকে সীমান্তে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিজিবি টহল জোরদার করেছে বিজিবি। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সীমান্তে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি জওয়ানরা সদা প্রস্তুত রয়েছে এবং সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। যারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল তাদের আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।