আসন্ন কোরবানির ঈদে চট্টগ্রামে স্থানীয় পশুই চাহিদা মেটাবে। এ লক্ষ্যে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পশু মজুদ রেখেছে। ফলে এবার কোরবানির বাজারে পশুর সংকট থাকবে না বলে জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর ৫ লাখ ৯১ হাজার কোরবানির পশুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২১ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর এবং ১৪ উপজেলায় কোরবানিযোগ্য ৫ লাখ ২ হাজার পশু (গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া) মজুদ রেখেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেয়াজুল হক বলেন, ‘এবারের পবিত্র ঈদুল আজহায় ৫ লাখ ৯১ হাজার পশু জবাইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর জবাই করা হয়েছিল ৫ লাখ ৪০ হাজার। ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে এবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখনো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১ হাজার পশু কম আছে, যা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণ করা সম্ভব হবে। কারণ এরই মধ্যে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু সংগ্রহ শুরু করবেন। ফলে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। ’ তিনি বলেন, ‘এবার চট্টগ্রামে ২৫০ স্থানে গরুর হাট বসবে। এসব হাটে থাকবে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মেডিকেল টিম এবং ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্ন চিকিৎসক। কোনো পশু এনথ্রাক্সসহ অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত কিনা তা ক্রেতাদের নিশ্চিত করবেন চিকি?ৎসকরা। ’
জানা যায়, বর্তমানে কোরবানির সময় পশুর চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে পশু পালনের হারও বাড়ছে। ফলে একদিকে ভারতীয় গরুর ওপর নির্ভরতা যেমন কমছে, সঙ্গে বাড়ছে ভালো মানের পশুর নিশ্চয়তা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরুসহ নানা পশু আনতে পরিবহন ও অন্যান্য খরচের চেয়ে যে বিষয়টা আমাদের কষ্ট দেয় সেটা হলো নানা মাত্রিক চাঁদাবাজি। ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয় বলে শেষে গিয়ে আমাদের পশুর মূল্য বাড়িয়ে দিতে হয়। সড়কে সড়কে চাঁদাবাজির খেসারত দিতে হয় কোরবানিদাতাদের। বিষয়টির দিকে সরকারের কড়া নজর দেওয়া উচিত। একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘গরুর দামের চেয়ে আনুষঙ্গিক খরচ বেশি পড়ে যায়। যার সরাসরি খেসারত দেন ক্রেতারা। ’
নগরের বৃহত্তম গরুর বাজার বিবিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম বলেন, এবারের কোরবানি উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পশু মজুদ আছে। কোরবানিতে পশুর কোনো সমস্যা হবে না। কারণ এবার দেশীয় গরু গতবারের চেয়ে বেশি আছে। তিনি বলেন, গরুর দাম সব সময় স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু পথে পথে নানামাত্রিক খরচ আমাদের সমস্যায় ফেলে।