স্পেনের একটি নামী দৈনিকে বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রিয়াল অনুরাগীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রিয়েল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ তৎকালীন কোচ কার্লো আনসেলোত্তিকে সরিয়ে জিদানকে দলের মাথায় বসিয়ে দেন। তারপর থেকেই বলা যায়, স্বপ্নের দৌড়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পাশাপাশি গত মৌশুমে স্পেনের ঘরোয়া লিগেরও খেতাব জিতে নিয়েছে ড়ীয়াল মাড়ীড। এবং বড় আসরে জেতা এইসব ট্রফির সঙ্গেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ ও চিরশত্রু বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দিয়ে গত সপ্তাহে জিতে নেওয়া স্প্যানিশ সুপার কাপের খেতাবও উল্লেখযোগ্য।
নিজের বর্ণময় ফুটবল ক্যারিয়রে যতটা উজ্বল ছিলেন জিদান, এখন মনে হচ্ছে কোচ হিসেবেও তার চাইতে কোনও অংশে কম নন এই ফরাসী কিংবদন্তি। এত কিছুর পর রিয়াল কর্তৃপক্ষ যে জিদানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নেবে এটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে, ৪৫ বর্ষীয় ‘মায়েস্ত্রো’-ও নিজের আর্থিক চুক্তি নিয়ে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে যে বিন্দুমাত্র দর কষাকষি করলেন না, এ যুগের ক্ষুরধার পেশাদার আবহে সেটাই বরং কিছুটা অভাবনীয়।