একই সঙ্গে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কতগুলো শিল্পকারখানা রয়েছে, এর তালিকা ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। পরিবেশসচিব, শিল্পসচিব, ভূমিসচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্পকারখানা অন্যত্র স্থাপন বা সরিয়ে নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করেছিলেন সেভ দ্য সুন্দরবনের সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেন। রুলে সুন্দরবনের আশপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনের পরিপন্থী হবে না এবং নতুন শিল্পকারখানা কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশসচিব, শিল্পসচিব, ভূমিসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১২ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।