উপজেলা সদরের আলহাজ শফিউদ্দিন মিয়া অ্যান্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজ ও মির্জাপুর মহিলা কলেজে পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান জানান, কলেজ চত্বর ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢোকায় পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাত জানান, ফতেপুর, বহুরিয়া, ভাদগ্রাম এবং বানাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র এবং ডোকলাহাটী, গল্লী, কররা, কড়াইল, কাটরা, আড়াইপাড়া, বাওয়ার কুমারজানি ও গবড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে পানি ওঠায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, উপজেলার ৪৭৮ হেক্টর রোপা আমন, ৮৫ হেক্টর জমির সবজি ও ১৫ হেক্টর জমির লেবুবাগান পানির নিচে রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার ১৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৮টিতে বন্যার পানি ঢুকেছে।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মত জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গোড়াইল, পাইখার ভাওড়া, মুশুরিয়াঘোনা, বন্দেকাওয়ালজানি, খৈলসিন্দুর, নিলজা, রানাশাল, মধুরটেকি, ইচাইল, গবড়া দক্ষিণ ও যোগীরকোফা—এই ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢোকায় পাঠদান স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে জানান তিনি।