বুধবার দিবাগত রাত ১১টা ও ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম এলাকা ও মাদার বখ্শ হলের ছাদে এঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর হলের ভেতর ছাত্রলীগের নেতারা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন বলে জানা গেছে।মাদার বখ্শ হল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে প্রায় সকল শিক্ষার্থী যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন হঠাৎ হলের পশ্চিম পাশের ছাদ থেকে ককটেল বিস্ফোরণের বিকট ২টি শব্দ শোনা যায়। এর পরেই হলের ভেতর লাঠি, পাইপ, কিরিচ, ধারালো ছোরা হাতে মহড়া দেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, আহমেদ সজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, হাসান লাবন ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহীল গালিবসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী। এতে মাদার বখ্শ হলসহ এর আশেপাশের সোহরাওয়ার্দী, জিয়াউর রহমান, শামসুজ্জোহা ও হবিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীরা জানান, মাদার বখ্শ হলের ওই ঘটনার আগে রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম এলাকায় ১ টি ককটলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে অনেকেই দাবি করছেন, এটি মাদার বখ্শ ও জিয়া হলের মাঝামাঝি কোনো ফাঁকা জায়গায় বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতা দাবি করেন, ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে ছাত্রশিবির এধরণের অপকর্ম করছে। তাদের সকল ধরণের অপকর্ম রুখতে রাবি ছাত্রলীগ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, শিবিরের নামে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে তৃতীয় কোনো পক্ষ তাদের স্বার্থ হাসিলেরর জন্য ককটলে বিস্ফেরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানার জন্য মাদার বখ্শ হলের প্রাধাক্ষ্য অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মাদার বখ্শ হলের বুধবার রাতের ঘটনাটি আমি শুনেছি। হলের পরিস্থিতি এখন স্বাভাািবক রয়েছে। তবে কারা এঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্কের কক্ষের সামনে রাতে ককটেল রেখে যায় দুর্বত্তরা। এর আগে গত ৩ মার্চ রাত ১টার দিকে হলের ছাদে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটেছিল।