কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পথ দিয়ে ভারতীয় গরু আসছে। ফলে পশুর হাটগুলোতে দামও রয়েছে স্বাভাবিক।
এই গরু আসা অব্যাহত থাকলে দাম আরও কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার দু’টি বিট বা খাটাল দিয়ে গরু আসায় জমে উঠেছে জেলার সর্ববৃহৎ তর্তিপুর পশুর হাটসহ মনাকষা পশুহাট, খাসের হাট, সোনাইচন্ডি পশু হাট, বটতলা হাট, রামচন্দ্রপুরহাট। দু’টি বিট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার গরু আসছে বলে জানিয়েছেন বিট বা খাটাল মালিকরা।
এদিকে, জেলার সবচেয়ে বড় বিট বাখেরআলী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্যাক্স পরিশোধের কাগজ প্রাপ্তি ও গরু পারাপারে বেশ ঝামেলা পোহানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে বিট মালিককদের বিরুদ্ধে। চোরাই পথে আনা এসব গরুর সাথে মাদক ও অস্ত্র আসে বিজিবির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের অধিকাংশ বিট বন্ধ করে দিয়ে মাত্র দু’টি বীটের অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে, পশুর হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর পাশাপাশি দেশি গরু থাকায় গরুর দাম গতবারের চেয়ে এবার অনেক কম রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবাসীয় ও ক্রেতারা। তবে দেশি গরুর দাম হাঁকা কিছুটা বেশি। একটি ছোট গরু ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৩৮ হাজার, মাঝারি গরু ৪০ থেকে ৪২ হাজার এবং বড় গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বেচাকেনা চলছে।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খামারে উল্লেখযোগ্য গরু লালন-পালন না করায় জেলার পশুর হাটগুলোতে মুলত ভারতের গরু বেশি দেখা যাচ্ছে আর দামও রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে।