ঢাকা: আত্মসমর্পণের পর লতিফ সিদ্দিকীকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হয়। তাকে মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতের এজলাসকক্ষের আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয়। তার পক্ষে কোনো জামিনের আবেদন জানানো হয়নি।
লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার একটি মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একই বাদীর মামলাটিতে এর আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সোমবার একই হাকিম ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের তাগাদা দেন।
বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ খোয়ানো বিতর্কিত এই রাজনীতিক মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী নিজেই মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি থানায় ফোন করে ওসিকে জানান, তিনি আত্মসমর্পণ করতে আসছেন। এ খবরের পর বেলা পৌনে একটার দিকে এডিসি ইব্রাহীম হোসেন এসে ওসি আবু বকর সিদ্দিকের কক্ষে অবস্থান নেন। বেলা দেড়টার দিকে লতিফ সিদ্দিকী এলে তাকে ওসির গাড়িতে করেই আদালতের পথে রওয়ানা হয় থানা পুলিশ।
দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে। রোববার রাতে তাই ভারত থেকে তিনি দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা নিয়ে নানা নাটকীয়তা তৈরি হয়। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার হরতাল ডাকে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। এছাড়া তাকে গ্রেফতার না করা হলে বুধবার ইসলামী ঐক্যজোট ও বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলাম হরতালের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।