পানি কমতে থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। তবে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি এখনো বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জামালপুর পানি উন্নযন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, এবারের বন্যায় যমুনার পানি দ্রুত গতিতে বাড়লেও পানি নামছে ধীর গতিতে। তবে দু’একদিনের মধ্যে পানি বিপদসীমার নীচে নেমে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
জামালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনো বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসলী জমি ডুবে আছে বন্যার পানিতে। জেলার ৫৫ হেক্টরের বেশী জমি ডুবে আছে বানের পানিতে। বন্ধ রয়েছে ১ হাজার ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পঞ্চম দিনের মতো বন্ধ রয়েছে জামালপুর-সরিষাবাড়ি রেল ও সড়ক যোগাযোগ।
বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত ঠান্ডা-জ্বর, পেটের পীড়াসহ নানা রোগ। খাবার, পানি ও গো-খাদ্যের অভাবের মধ্যে দিন পার করছে বানভাসী মানুষগুলো।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা: মোশায়ের উল ইসলাম জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ৭৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে দুর্গত এলাকায়।