ঢাকা: অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. ইউনূস বলেন, বৃটেনসহ বিশ্বের লাখো মানুষ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তাই আমরা বাংলাদেশিরা টেকসই অলাভজনক সামাজিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
বৃটিশ পার্লামেন্টে আয়োজিত দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০ নভেম্বর সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ যুক্তরাজ্যের চতুর্থ বার্ষিকী উদযাপন ও কমনওয়েলথভুক্ত ৪০টিরও বেশি দেশের পার্লামেন্টারিয়ানদের নিয়ে আয়োজিত পৃথক দু’টি অনুষ্ঠানে এ ভাষণ দেন তিনি।
সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. ইউনূস। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বার্সো এমপি ও হাউজ অব লর্ডসের স্পিকার বারুনেস ডি’সুজা।
ড. ইউনূস আরও বলেন, বৃটিশ পার্লামেন্ট দেশের নাগরিকদের সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজের উৎপাদিত পণ্য কিনতে উৎসাহিত করছে, এতে পার্লামেন্ট নিজেই ‘সামাজিক ক্রয়’ প্রতিষ্ঠান হওয়ার সুযোগ লাভ করছে।
সামাজিক উদ্দেশে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এই পণ্য ও সেবা গ্রহণ করে বৃটিশ পার্লামেন্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে উল্লেখ করে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী এ বাংলাদেশি বলেন, সমাজ পরিবর্তনে এ ধরনের উন্নত-মানসিকতা পোষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পার্লামেন্টের এই নীতি অবলম্বন করবে বলে আশা করি।
এই অনুষ্ঠানে ভাষণের পর কমনওয়েলথভুক্ত ৪০টিরও বেশি দেশের পার্লামেন্টারিয়ানদের নিয়ে আয়োজিত পৃথক সম্মেলনে বক্তব্য দেন ড. ইউনূস।
জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন ইউকে (সিপিএইউকে)।
উভয় ভাষণেই দারিদ্র্য দূরীকরণে নিজের ভিশনের কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
এ অনুষ্ঠানে চীন, কানাডা, ভারত, হংকং, নাইজেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সোশ্যাল ইন্টারপ্রাইজের প্রায় ১৫০ জন প্রতিনিধি ও বৃটিশ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।