গভীর রাতে বিকট শব্দে মাদারগঞ্জের চাঁদপুর- নাংলা নাদাগারী অংশে যমুনা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ৩০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়ছে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে ১০টি বসতবাড়ি।
আতঙ্কে শত শত লোকজন তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। বাড়িঘর নিয়ে তারা কোনরকম উঁচু জাযগায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।নাদাগারী গ্রামের স্কুল শিক্ষক মিজান জানান, সোমবার দুপুর থেকে বাঁধটির একটি অংশে সামান্য পানি যেতে শুরু করে। পরে প্রশাসনের লোকজন ও জন প্রতিনিধিরা এসে লেবার দিয়ে বাঁধটির মেরামতের চেষ্টা করে। কিন্তু রাত ১২ টায় হাঠৎ বিকট শব্দে বাঁধটি ভেঙে যায়।
মুহূর্তে ঐ গ্রামের সোলাইমান, হাফিজুর, শাজাহান, ফরিদ, সৈয়দজামা,আমিনুর, মুক্তা, আজাদ, নবাব আলী, মুসা, হাসান এবং সালমা বেগমের বাড়ি পানির তোড়ে ভেসে যায়। ঘর হারিয়ে সোলাইমানের স্ত্রী শাহারা বেগম বিলাপ করে জানায়, তার স্বামী ঢাকায় কাজ করে। সে ছেলে সন্তান নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘর ভেসে যায় কোনমতে সে সাঁতরে পাড়ে উঠে। পানির তোড়ে তার ৪০ হাত ভিটে পাকা ঘর সম্পূর্ণ ভেসে যায়।
তিনি আরো বলেন, ঘর থেকে একটি জিনিসপত্র বের করেত পারেনি। এ দিকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বালিজুড়ি ইউনিয়ন এবং জোড়খালী ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন জানান, প্রতিবছর বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এর মেরামত হয়না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড.কামরুজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য ৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। তাদের তালিকা করা হচ্ছে।
এদিকে ভয়াবহ বন্যায় জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যায় ভেসে গেছে দুই শতাধিক পুকুরের মাছ। উপজেলা সদরের সাথে ছয়টি ইউনিয়নসহ সারাদেশের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।