স্ট্রোক ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে আমড়া!

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

5

আমড়া! আমাদের দেশের অত্যন্ত সহজলভ্য ও জনপ্রিয় একটি ফল। টক ও কচমচে স্বাদের জন্যই এটা সবার প্রিয়।

আর বর্ষাকাল হচ্ছে আমড়া ফলের শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ এ সময়েই এই ফল বাজারে আসা শুরু করে। সাধারণ ফল বিক্রেতাদের কাছে তো বটেই, ভ্রাম্যমাণ ফল ও আচার বিক্রেতাদের কাছেও মেলে এই ফল।

পরিপক্ব কিন্তু কাঁচা আমড়াই ফল হিসেবে সবাই বেশি ভালোবাসে। কারণ পেকে গেলে এর কচকচে ভাবটা কমে যায়। আমড়া লবণ-মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মেখে খেতে খুবই চমৎকার লাগে। আমড়া ফল হিসেবে তো বটেই আচার বানিয়েও খাওয়া যায়। এছাড়াও আমড়া দিয়ে চাটনি, ভর্তা, তরকারি ইত্যাদিও তৈরি করা হয়। আসুন জেনে নিই প্রতি ১০০ গ্রাম

আমড়ার পুষ্টিগুণ :

খাদ্যশক্তি- ৪৬ কিলোক্যালরি,আমিষ- ০.২ গ্রাম,চর্বি- ০.১ গ্রাম,শর্করা- ১২.৪ গ্রাম,ক্যালসিয়াম- ৫৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস- ৬৭ মিলিগ্রাম,আয়রন- ০.৩ মিলিগ্রাম,ক্যারোটিন- ২০৫ আইইউ,থায়ামিন- ০.০৫ মিলিগ্রাম,রিবোফ্লেভিন- ০.০২ মিলিগ্রাম,ভিটামিন সি- ৩৬ মিলিগ্রাম

উপকারিতা:

প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানে সমৃদ্ধ আমড়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার সাধন করে-

১. আমড়া রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। স্ট্রোক ও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। মাঢ়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আমড়া সাহায্য করে।
৩. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪. খিঁচুনি, পিত্ত ও কফ নাশক হিসেবে আমড়ার ব্যবহার রয়েছে।
৫. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৬. অরুচি ও শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপকে নিষ্কাশনে সাহায্য করে আমড়া।
৭. ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখে আমড়ার গুণাগুণ। ত্বকের নানা রোগও প্রতিরোধ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *