প্রধান বিচারপতির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে: ফখরুল

Slider রাজনীতি

received_1934827060089121

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগ গত ১০ বছর ধরে সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থাবে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৪ আগস্ট) ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের প্রধান তিন স্তম্ভ হলো- পার্লামেন্ট, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। সরকার আইন প্রণয়নকারী পার্লামেন্টকে তো ২০১৪ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়ে ফেলেছে।
পাশাপাশি তারা প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ দলীয় করে নিয়েছে। শুধুমাত্র উচ্চ আদালতের কিছু অংশ বাকি রয়েছে, সেটাকেও নেয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ।”

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধান বিচারপতির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই রায় নিয়ে নাটক শুরু করেছে সরকারি দল। এই রায়ের ফলে আওয়ামী লীগের যে সরকারে থাকার বৈধতা নেই, নৈতিক কোনও অধিকার নেই তা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে এমন বিষয়গুলো এসেছে যা দ্রুব সত্য।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস আছে, আদালতের রায় তাদের মতো না হলে তারা মানে না, মানতে চায় না। এর আগেও তারা যখন ৯৬ সালে সরকারে ছিল তখন হাই কোর্টে বস্তি ঢুকিয়ে দিয়েছিল, এগুলো আমাদের জানা আছে। যখন ৭৫ সালে বাকশাল গঠন করা হয়, এই আওয়ামী লীগ কিন্তু বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে দিয়েছিল।”

রায়ের পর্যবেক্ষণের কোথাও ইতিহাস বিকৃত বা কাউকে আঘাত করার মতো কোনও শব্দ নেই মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “এটা শুধু সত্যকে তুলে ধরেছে। যে কারণে আমরা এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছি। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে যে অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানাই।”

আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করে বলে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন হত্যা করা হয় তখন কিন্তু ক্ষমতা দখল করেছিল আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক। তিনি সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। এরপরও তারা মিথ্যা বলে যে, জিয়াউর রহমান সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। তারা জিয়াউর রহমানের নামে মিথ্যাচার চালাচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন সহ আরও অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *