তিস্তা ব্যারেজ নিয়ে আতঙ্কিত বানভাসি মানুষ

Slider গ্রাম বাংলা

LMH_Pic_4

তিস্তা ব্যারেজের বাইপাস ভেঙে রবিবার লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার বিপুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আজ সোমবার নদীর পানি প্রবাহ কমলেও এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফলে তিস্তা ব্যারেজ এলাকার বানভাসি মানুষের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উজান থেকে ভেসে আসা বানভানি মানুষগুলোর কান্না আর আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠছে পুরো এলাকা। ঘর-বাড়ি হারিয়ে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়া অনেকেই পাড়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সোমবার সকালে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, তিস্তা নদীর কমে পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫ সি.মি. ও ধরলা নদীর পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য  তিস্তা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। ধরলা ও তিস্তার পানি সার্বক্ষণিক মনিটারিং করা হচ্ছে বলেও জানান  এই কর্মকতা।

সোমবার ভোর রাতে তিস্তা ও ধরলার প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬টি বাঁধ। এতে নতুন করে আরও ১৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ভারিবর্ষণ ও ভারত থেকে পানি বাংলাদেশের দিকে নেমে আসায় তিস্তা ব্যারাজ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। এজন্য তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরও গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে তিস্তা পাড়ে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ইতিমধ্যে ব্যারাজের ফ্লাট বাইপাশ এলাকার লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। এমনকি ব্যারাজ রক্ষার্থে যে কোনো মুহূর্তে ফ্লাট বাইপাশ কেটে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *