এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে বুড়িমারীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। লালমনিরহাট রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট সাজ্জাত হোসেন জানান, লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলরুটের অনেক স্থানে রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানি। বেশ কিছু স্থানে রেললাইনের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের কারণে লাইনের নিচে গর্ত সৃষ্ট হয়েছে। ফলে এ রুটের বুড়িমারী থেকে হাতিবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া পর্যন্ত রেল চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে লালমনিরহাটসহ সারাদেশের সঙ্গে বুড়িমারী স্থলবন্দর, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলার রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে এ রুটে ধীর গতিতে লালমনিরহাট থেকে কালীগঞ্জের কাকিনা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকবে। বন্যায় লাইনের কোথাও ভেঙে বা নষ্ট হতে দেখলে স্থানীয় রেল স্টেশনে খবর দিতে স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এ রেল কর্মকর্তা।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপদসীমার ০.৬৫ সেন্টিমিটার উপরে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, শুক্রবার থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢল ও টানা ছয়দিনের ভারি বর্ষণে শনিবার দিনভর বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতে আরো বেড়ে যায়। ব্যারাজ রক্ষার্থে তিস্তায় রেড অ্যালার্ট জারি করে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়। গভীররাতে ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস উপচে পানি প্রবাহিত হয়। ব্যারাজ রক্ষার্থে ফ্লাড বাইপাস কেটে দেয়া দরকার হলেও স্থানীয়দের বাঁধায় তা সম্ভব হচ্ছে না। রোববার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫৩.০৫। যা স্বাভাবিকের (৫২.৪০ সেন্টিমিটার) ০.৬৫ সেন্টিমিটার উপরে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সেনাবাহিনীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন এ প্রকৌশলী।