ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বর্ষণে পানিবন্দী হাজারো মানুষ

Slider গ্রাম বাংলা

received_1934062676832226

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে গত ৪২ ঘন্টা ধরে চলমান টানা বর্ষণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। টাঙন, শুক, কুলিকসহ সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রধান নদী টাঙনের পানি বিপদসীমার ২৫ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এসব নদ-নদীর আশপাশের নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন কিংবা প্রবাহিত হওয়ার যায়গার অভাবে বিভিন্ন স্থানে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

বিভিন্ন এলাকার কাঁচা রাস্তাঘাটগুলোর আগে থেকেই ছিল বেহাল অবস্থা। পানি জমে কাঁচা রাস্তাগুলোতে এখন হাঁটুসমান কাঁদা।

সদর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তঘাট ঘুরে দেখা গেছে সেখানে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পা চালিয়ে ঠিকমতো হাটা-চলা করার মতো অবস্থাও নেই। চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে গেছে এসব রাস্তাঘাট।

গ্রাম এলাকাগুলোতে চলছে বিভিন্ন ধরণের চাষাবাদের কাজ। তাই গ্রামের সড়কগুলো দিয়ে চলাচল করছে পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টরসহ ভারী যানবাহন। যার কারণে কাচা রাস্তাগুলো আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অনেক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদের উদাসীনতা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়মের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার আওতাধীন এলাকাগুলোতে এই অনিয়ম চোখে পড়ে সবচাইতে বেশি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে গোয়ালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, টাঙন নদীর পাড়স্থ লোকালয়, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মূল ফটক থেকে হাসপাতালের সম্মুখভাগের সিঁড়ি অব্দি প্রায় ২৫ মিটার রাস্তা হাটু পানিতে ডুবে আছে।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। ঘর থেকে বের হতে পারছেনা সাধারণ মানুষ।

এছাড়া জেলাজুড়ে বিভিন্ন এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে। জেলার কোথাও কোথাও পাকা সড়কে জলাবদ্ধতার খবরও পাওয়া গেছে।

এসব স্থানে পানি জমে প্রচন্ডরকম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ছে রোগ বালাইয়ের সংক্রমণও। দিনের বেলা মুষলধারায় বৃষ্টির ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

পানি নিষ্কাশন কিংবা পুনর্বাসনের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগের খবর কিংবা সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন
০১৭৬৮৮৮২৯৭৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *