ডেস্ক : জল্পনাটা উস্কে দিয়েছিলেন খোদ ফেসবুকের স্রষ্টা মার্ক জুকারবার্গ। নভেম্বরের গোড়াতেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, বিশ্ববাসীর জন্য সবথেকে ‘পার্সোনালাইজড নিউজপেপার’ নিয়ে আসবেন। এক বিলিয়নেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছে দৈনিক পৌঁছে যাবে এই ই-পেপার।
একটি সাধারণ সংবাদপত্র যেমন সব পাঠককেই একই সংবাদ পরিবেশন করে, জুকারবার্গ সেই ধারণাই বদলে দিতে চান। তার স্বপ্ন, প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে বানানো হবে এক একটি ‘নিউজপেপার’। যেখানে এক ছাদের নিচে বিশ্বের সব খবর তো মিলবেই, পাশাপাশি থাকবে প্রত্যেক ফেসবুক ইউজারের পছন্দের বিষয় নিয়ে খবরও। থাকবে নিউজ ফিড, বন্ধুদের স্টেটাস ও ছবিও।
ইউএসএ টুডে-র প্রাক্তন সম্পাদক কেন পলসন বলছেন, খবরের জগতে এ এক বিপ্লব হতে চলেছে। এটা ভালো না খারাপ বলতে পারব না। গতানুগতিক সংবাদপত্র কখনই পাঠকদের এই পরিষেবা দিতে পারবে না। যদিও সকলেই কেন-এর মত আশাবাদী হতে পারছেন না। অনেকেরই অভিযোগ, ফেসবুকের মতো মার্কেটিং জায়েন্ট মিডিয়া ব্যবসাতেও নেমে পড়লে সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখা তাদের পক্ষে মুশকিল হবে।
ফেসবুকের এই সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় অবশ্য কোনো সাংবাদিকরা নির্নয় করবেন না। গাণিতিক নিয়মে কার কাছে কোন খবর যাবে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক হবে।