সৌদি সরকার ঘোষিত অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করে বাংলাদেশে অনিশ্চয়তায় থাকা হাজীদের সৌদি আনতে অনীহা বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে বাকি টাকা পরিশোধ করে ভিসা নেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
হাজীদের ভিসা জটিলতায় একের পর এক বাতিল হচ্ছে হজ ফ্লাইট। এতে বাংলাদেশ থাকা ৪০ হাজার হাজী এবার হজ অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। সৌদি সরকার থেকে বলা হচ্ছে, ভিসা পেতে হলে হাজীদের জনপ্রতি ১৫০০ রিয়াল পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এর আগে হজ এজেন্সিগুলো হাজীদের কাছ থেকে ৭২০ রিয়াল করে গ্রহণ করায় ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
এজেন্সি মালিকরা বলছে, এই মুহূর্তে হাজীদের কাছে পুনরায় ৭৫০ রিয়াল করে চাওয়া সম্ভব না। আর হাজীদের কাছ থেকে এই টাকা নিতে না পারলে আমাদের বাড়ি ভিটা বিক্রি করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নাই। তাই এখন আমাদের পক্ষে অতিরিক্ত ৭৫০ রিয়াল দিয়ে ভিসা করা সম্ভব নয়।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (হাব) নেতারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা না থাকায় এজেন্সিগুলো অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভিসা নেয়ার জন্য চাপও দিতে পারছে না। তাছাড়া সময়ও খুব অল্প। এক্ষেত্রে সরকারি কোষাগারে থাকা হাজীদের আপদকালীন ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে এই অবস্থা উত্তরণ করা সম্ভব।
মক্কা হজ অফিসের কাউন্সিলর মাকসুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে এজেন্সি মালিকরা শেষ পর্যায়ে আসার কারণে সর্বনিম্ন মূল্যের (৪র্থ) প্যাকেজ ধরতে পারেননি। আমরা সৌদি সরকারের সঙ্গে কথা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
সৌদি সরকার হজের পুরো কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে সবকিছুই অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ থেকে হজ এজেন্সিগুলো অনলাইনের আবেদনের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করে অল্প কিছু টাকা দিয়ে বুকিং দিয়ে রেখেছিল। আর সেটা সৌদি হজ কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী না হওয়ায় তাদের আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকার উদ্যোগ নিলে এই সমস্যা সমাধান করে সবাই এবছর হজ করতে পারবে এমনটাই মনে করছেন এজেন্সি মালিক ও হাব নেতারা।