ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ
দুপুর ১ টা ৫০ মিনিট। কোন ডাক্তারই নেই হাসপাতালে। মুমুর্ষ রোগীরা বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে আর আহাজারী করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে এমনই চিত্রের কথা জানালেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী অফিসার ছাদেকুর রহমান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, রোববার দুপুরে তিনি আকস্মিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে যান। সেখানে দেখেন হাসপাতালটিতে কোন ডাক্তারই নেই। তাকে দেখে রোগীর স্বজনরা এগিয়ে এসে অভিযোগের সুরে বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন ডাক্তারই আসেনি। আর বেডে শুয়ে ডাক্তার আসার অপেক্ষায় কাতরাচ্ছে আর আহাজারী করছে রোগীরা। তিনি আরো জানান, এসব রোগীদের মধ্যে সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এক মুমুর্ষ রোগী ভর্তি হয়েছেন। ডিউটিরত নার্সরা তাকে শুধুমমাত্র ব্যান্ডেজ করে দিলেও ডাক্তার না আসায় তার কোন ব্যাবস্থা পত্র বা ওষুধও লিখে দেওয়া হয়নি।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্বজনরা জানিয়েছে, বর্তমানে ডিউটিরত নার্সরাই রোগীদের একমাত্র ভরসা। ডাক্তার ছাড়া তারাই দেখভাল করছেন। তবে ডিউটি না থাকলেও সোহাগ নামের একজন ডাক্তার মানবতার খাতিরে কিছু রোগীকে দেখেছেন বলেও জানায়। ভুক্তভোগী রোগীদের স্বজন ও এলাকাবাসীদের অভিযোগ প্রায়ই ডাক্তাররা হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না। শহরে ক্লিনিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে বেড়ান। এতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চরম দূভোগ পোহাতে হয়। ডাক্তার অনুপস্থিতির বিষয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত টিএইচএ ডাঃ আব্দুস ছাত্তার তার মুঠো ফোনে জানান, তিনি এক দিনের ছুটিতে রয়েছেন। তবে, সুলতান ও সোহাগ সহ ৩ জন ডাক্তারের সকালে ডিউটি করার কথা। কিন্তু তারা কেন আসেননি বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বার্হী অফিসার ছাদেকুর রহমান, হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ডাক্তার না থাকার বিষয়টি তিনি লিখিত ভাবে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মহোদয় ও জেলা সিভিল সার্জনকে জানিয়েছেন। তারা তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান।