ভোটের বাকি এখনো প্রায় দেড় বছর। তবুও চট্টগ্রামে জমজমাট হয়ে উঠছে ভোটের রাজনীতি।
এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নানামুখী প্রচারণাও। ১৬টি সংসদীয় (২৭৮-২৯৩) আসনে মোট ৮৪ জনের মতো সম্ভাব্য প্রার্থীর কমবেশি তত্পরতা লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও প্রচারণা চালাচ্ছেন। গেল রমজান মাসজুড়েই ছিল চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় ইফতার রাজনীতি। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানেরও আয়োজন করেন অনেকেই। ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েও প্রার্থীরা জানান দেন, একাদশ নির্বাচনের খুব একটা সময় বাকি নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বেশ কয়েকটি দল মাঠে রয়েছে। বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের প্রায় সব প্রার্থীই হেভিওয়েট। ভোটাররা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেই লড়াই হবে। তবে প্রধান দুই দলেই রয়েছে একাধিক প্রার্থী। নগরজুড়েই রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের মানুষের উত্সুক দৃষ্টি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতীক।চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) : এ আসনের বর্তমান এমপি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। একাদশ নির্বাচনেও তিনি দলের একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। নিয়মিত এলাকার গণমানুষের সঙ্গে রয়েছে তার নিবিড় যোগাযোগ। শারীরিক অসুস্থতা বা কোনো কারণে তিনি নির্বাচন না করলে তার ছেলে মাহবুব রহমান রোহেলও নির্বাচন করতে পারেন। বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিল্পপতি এমডি কামাল উদ্দিনের। চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : এ আসনের বর্তমান এমপি নজিবুল হক মাইজভাণ্ডারী। আগামীও তিনি জোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন। তবে ছাড় দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এ আসনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী, সাবেক এমপি মরহুম রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খতিজা আনোয়ার সনি ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও রফিকুল আনোয়ারের ভাই জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আনোয়ার মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী। তিনি এরই মধ্যে এলাকায় অবস্থান নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এ ছাড়াও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য বিচারপতি ফয়সাল ফয়েজীও মনোনয়নপ্রত্যাশী।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান মিতা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া ও পৌর মেয়র জাফর উল্লাহ টিটু মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশা।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) : এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম। আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়াও যুবলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী। তিনি বর্তমানে জেলে রয়েছেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে মুক্তি না মিললে সেক্ষেত্রে সাবেক মন্ত্রী এল কে সিদ্দিকীর ভাই সাবেক সচিব ও আইজিপি এওয়াইবিআই সিদ্দিকী মনোনয়ন পেতে পারেন।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) : এ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আগামী নির্বাচনেও তিনি এই আসন থেকে লড়বেন।
তবে আগামী নির্বাচনে ছাড় দিতে নারাজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুচ গনি চৌধুরী। এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের। কোনো কারণে তিনি নির্বাচন না করলে তার ছেলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন মনোনয়ন চাইবেন। তবে এ আসনে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভও মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়াও সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, চাকসু জিএস এসএম ফজলুল হক ফজু, চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দিনও মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে এ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম বীরপ্রতীক।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) : এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটনও মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি এলাকায় তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ আসনে বিএনপিতে দুজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। একজন হলেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আরেকজন হলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি দলের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপি থেকে যুদ্ধাপরাধীর দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী অথবা ফরহাদ কাদের চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) : এ আসনে জাসদের বর্তমান এমপি মঈনউদ্দীন খান বাদলও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন। তবে ছাড় দিতে চাচ্ছে না স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ও মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম, ওয়েল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ও শিল্পপতি সৈয়দ নূরুল ইসলাম এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির পুত্র মুজিবুর রহমান। বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান। তবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আবু সুফিয়ান ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা এরশাদ উল্লাহও তত্পরতা চালাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) : এ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। দলের বাইরেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে এ আসনটি আগামীতে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসিও দলের মনোনয়ন পেতে তত্পরতা চালাচ্ছেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেলও মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। নানা প্রতিকূল পরিবেশেও তিনি এলাকায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়াও মহানগর সহ-সভাপতি শিল্পপতি শামসুল আলম মনোনয়নপ্রত্যাশী। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে মুজিবুল হক শুক্কুর ও ওয়াহিদ মুরাদ মনোনয়নপ্রত্যাশী। চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) : এ আসনে বর্তমান এমপি ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আফছারুল আমীন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়াও যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদও মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন প্রবীণ নেতা দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান।
চট্টগ্রাম-১১ (হালিশহর-পতেঙ্গা) : এ আসনে বর্তমান এমপি মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এমএ লতিফ। আগামীতেও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়াও নগর আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি থেকে এ আসনে দলের একক প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : বর্তমান এমপি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামশুল হক চৌধুরী একাদশ নির্বাচনেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়াও এস আলম গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান শিল্পপতি আবদুস সামাদ লাবু, যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতা বদিউল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহেরুল ইসলামও মনোনয়নপ্রত্যাশী। অন্যদিকে বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এনামুল হক এনামের নাম দলীয় ফোরামে আলোচনায় রয়েছে। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) : এ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু পুত্র বর্তমান এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাবেদ) আগামীতেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মরহুম আতাউর রহমান থান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা কায়সার খান এমপি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা শাহজাদা মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল কাইয়ুম খানও মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি থেকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা সরোয়ার জামাল নিজাম ও জালাল উদ্দিন আহমেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে এমএ মতিন মনোনয়ন চাইবেন।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) : বর্তমান এমপি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরও মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি জোট থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। কোনো কারণে তিনি না হলে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন অথবা ডা. মহসিন জিল্লুর রহমান মনোনয়নও পেতে পারেন।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) : বর্তমান এমপি দক্ষিণ জেলা সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, এমএ মোতালেব চৌধুরী, বিএনপি থেকে সাতকানিয়া বিএনপির সভাপতি আবদুল গাফফার চৌধুরী অথবা ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল মোস্তফা আমিন মনোনয়ন পেতে পারেন। এ ছাড়াও এ আসনে জামায়াতের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতা আ ন ম শামসুল ইসলাম ও মনোনয়ন চাইবেন। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : এ আসনে বর্তমান এমপি দক্ষিণ জেলা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়াও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ অর্থ সম্পাদক ও শিল্পপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটনও মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি থেকে সাবেক এমপি ও মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়াও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী মহসিনেরও সম্ভাবনা রয়েছে।