হিমালয় পার্বত্যাঞ্চলের দুর্গম এলাকা দোলাম মালভূমি। বহির্বিশ্বে খুব একটা পরিচিতি ছিল না এলাকাটির। কিন্তু জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে ওঠে দোলাম মালভূমি। ওই সময় থেকে এ অঞ্চলে মুখোমুখি অবস্থানে চীন-ভারত। অঞ্চলটি নিয়ে হাল আমলের প্রলয়ঙ্করী কোনো সংঘাতের আশঙ্কায় উত্তপ্ত দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পরিমণ্ডল। ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় চীনের সড়ক নির্মাণের প্রয়াস থেকে যে অচলাবস্থার শুরু, তা নিরসনে এখন পর্যন্ত বেশকিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে উভয়পক্ষই। এর পরও যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে এ অঞ্চলের কাছাকাছি তিব্বতে আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে সম্প্রতি এক সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন, যাকে দেখা হচ্ছে নয়াদিল্লির প্রতি বেইজিংয়ের কঠোর ও প্রায়োগিক হুঁশিয়ারি হিসেবে।
দোকলাম মালভূমি অঞ্চলের (দোলাম মালভূমি আসলে যার অংশবিশেষ) ভূ-প্রাকৃতিক গঠন ও আবহাওয়া; দুটোই যে কারো পক্ষে সামরিক কার্যকলাপ চালানোর অন্তরায়। অথচ চীন-ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে আগেও। ৫৫ বছর আগে ঘটে যাওয়া সে সংঘাত ইতিহাসে পরিচিত ‘সিনো-ইন্দো ওয়ার’ নামে।
অতীত ও বর্তমান বিবেচনায় কিছু প্রশ্নের অবকাশ তৈরি হয়। দুর্গম এ মালভূমি অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বটা আসলে কোথায়, যার জন্য দুই দেশের সৈন্যরা আবারো একে অন্যের রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত?
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে মাত্র ১৭ মাইল চওড়া একখণ্ড ভূমি শিলিগুড়ি করিডোর। নিজ মানচিত্রের সবচেয়ে সরু এ অংশটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোকে বেষ্টন করে আছে চারটি দেশ— ভুটান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন। এ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর সঙ্গে ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের স্থলপথে চলাচলের একমাত্র পথ এ শিলিগুড়ি করিডোর।
১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের মূলেও ছিল সীমান্ত সংঘাত। অরুণাচল ও কাশ্মীর সীমান্ত নিয়ে শুরু হওয়া যুদ্ধে বিজয়ীপক্ষ ছিল চীন। উপমহাদেশের আর সব অঞ্চলের মতো এখানকার সংঘাতের মূলেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। ১৯১৪ সালে অনুষ্ঠিত শিমলা কনভেনশনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব হেনরি ম্যাকমোহনের প্রস্তাবিত তিব্বত ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত রেখাটিই এখন ম্যাকমোহন লাইন হিসেবে পরিচিত। ম্যাকমোহন লাইনকে অরুণাচল ও তিব্বতের সীমান্ত হিসেবে চীনারা কখনই মেনে নেয়নি। অন্যদিকে ভারতীয়রা এ রেখাটিকেই প্রামাণ্য সীমান্ত রেখা হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে জেতার পরও এ অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছিল চীন। তবে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও এ অঞ্চলের ভারতের দাবিকে বরাবরই অগ্রাহ্য করে এসেছে বেইজিং। সিকিম অধিকারে করে নেয়ার পর এ অঞ্চলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার সুযোগ পায় ভারত। একই সঙ্গে ভুটানকে সুরক্ষা দেয়ারও একটা দায়িত্ব ঘাড়ে তুলে নেয় দেশটি।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে চলমান সংঘাতটির বিষয়ে আসলে কারো কোনো দোষ নেই। চীনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রান্তঘেঁষে একটি সড়ক নির্মাণের প্রয়াস থেকে এর সূত্রপাত। চীন, ভারত ও ভুটান সীমান্তবর্তী চুমবি ভ্যালি অভিমুখী সড়কটি অন্য দুই দেশের সীমান্তের একেবারে কাছ ঘেঁষে গেছে। কিন্তু এ নির্মাণ কাজ যখন দোলাম মালভূমি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে গেল চীন, তখনই গণ্ডগোল বাধল।
কারণ দোলাম মালভূমির ওপর ভুটানের দাবি রয়েছে। ভুটানের এ দাবিতে ভারতের সমর্থন রয়েছে, কিন্তু চীনের নেই। তার ওপর নিজ সীমান্তের কাছাকাছি দুর্গম অঞ্চলে এ ধরনের সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিজের সামরিক উপস্থিতি আরো জোরালো করে তুলতে সক্ষম হবে চীন। ফলে ভুটানের তথা নিজের সুরক্ষার স্বার্থেই এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত। সৈন্য পাঠিয়ে সড়ক নির্মাণের পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে দেশটি। জবাবে চীনও সেখানে সৈন্য সমাবেশ করেছে, তবে অল্প সংখ্যক। পরবর্তীতে অবশ্য মহড়ার মাধ্যমে নয়াদিল্লিকে বুঝিয়ে দিয়েছে বেইজিং, চীনও প্রস্তুত।
দোলাম মালভূমি অঞ্চলটি চুমবি উপত্যকার বেশ কাছে। শিলিগুড়ি করিডোরের ওপর আক্রমণ চালানোই হোক, আর এর প্রতিরক্ষাই হোক, দোলাম বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিজ ভূখণ্ড রক্ষা করতে হলে ভারতকে শিলিগুড়ি করিডোরের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতেই হবে। শুধু তা-ই নয়, এ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে গিয়ে যত ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে, তার সবই অতিক্রম করতে হবে দেশটিকে। এ কারণে অঞ্চলটিতে চীনের সামান্যতম উপস্থিতিও সহ্য করতে নারাজ নয়াদিল্লি। বেইজিংয়ের সড়ক নির্মাণের ইচ্ছা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করতে দেবে না দেশটি।
চীন যদি শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়ি করিডোরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই নেয়, ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোয় প্রবেশাধিকার হারাবে। একই সঙ্গে প্রদেশগুলো হাতছাড়া হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় এ নিয়ে এখন চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। প্রকাশ হচ্ছে নানা ধরনের পূর্বাভাসসংবলিত হিসাব-নিকাশ। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে এ দুই মহাশক্তির সম্ভাব্য লড়াইয়ের প্রভাব কী হবে, তা নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে অনেকেই। এর মধ্যে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের এক নিবন্ধে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোয় চীনের উপস্থিতির প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়বে বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘এ সংঘাত শুধু কয়েকটি প্রদেশের হিসাব নয়। ব্রহ্মপুত্র নদের উজানের অর্ধাংশ উত্তরাঞ্চলের প্রদেশগুলোর মধ্য দিয়ে বইছে। নদটির নিয়ন্ত্রণ যার হাতে থাকবে, বাংলাদেশের মিঠাপানির প্রবাহও তারই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সুতরাং ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার অর্থ— দেশটির বাংলাদেশ হয়ে ভারত মহাসাগরে প্রবেশাধিকার অর্জন থেকে মাত্র কয়েক ধাপ পিছিয়ে থাকা। প্রয়োজন হলে এর জন্য বলপ্রয়োগও করতে পারে চীন।’
তবে বিষয়টিকে এখন পর্যন্ত স্রেফ অনুমান উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সহসাই এ ধরনের কোনো কিছু ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে মিয়ানমার প্রসঙ্গে চীনের কৌশল থেকে এটি অনুমান করা যায়, যেখানে সামান্য শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে প্রবেশের পথ খুলতে চাইছে বেইজিং। মিয়ানমারের মতোই বাংলাদেশ চীনের তুলনায় অনেক ছোট একটি দেশ। শুধু পরিস্থিতিটাই এক রকম নয়। যা-ই হোক, বাংলাদেশের ওপর এভাবে প্রভাব খাটাতে হলে আগে প্রতিবেশী ভারতের বড় একটি অংশ জয় করে নিতে হবে চীনকে।’
বর্তমানে মালভূমি অঞ্চলটির উল্লিখিত সড়ক নির্মাণ স্থানে চীন ও ভারত— উভয় পক্ষেরই ৩০০-৪০০ করে সৈন্য উপস্থিত রয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানানো হয়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলে ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন রাখা হয় ১২০-১৫০ জন। সংঘাতের কেন্দ্রে থাকা জায়গাটিতে অল্পসংখ্যক থাকলেও আশপাশের অঞ্চলে আরো সৈন্য মোতায়েন রেখেছে দুই দেশই। বর্তমানে গোটা দোকলাম মালভূমি অঞ্চল ও এর আশপাশে দুই দেশেরই তিন হাজার করে মোট ছয় হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। সংঘাত শুরু হওয়া মাত্র এরা যুদ্ধে নেমে পড়বে।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী সিকিম প্রদেশে ভারতের আরো কয়েক হাজার সৈন্য রয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব সিকিমে ৬৩তম ব্রিগেড ও উত্তর সিকিমে ১১২তম ব্রিগেড মোতায়েন করে রেখেছে ভারত। দুটি ব্রিগেডেই সৈন্য সংখ্যা প্রায় তিন হাজার করে। এছাড়া ১৬৪তম ব্রিগেডের দুটি ব্যাটালিয়নকে এরই মধ্যে চীন সীমান্তের কাছাকাছি এনে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পদাতিক বাহিনীর তিনটি মাউন্টেন ওয়ারফেয়ার ডিভিশন যুদ্ধের জন্য সবসময়ই প্রস্তুত বলে জানিয়ে আসছে ভারত। প্রতিটি ডিভিশনেরই সৈন্য সংখ্যা ১০ হাজার করে। তবে দোকলাম অঞ্চলের আশপাশে মোতায়েন ভারতীয় সৈন্যদের কাছে এখন ঠিক কী ধরনের হাতিয়ার রয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য আছে খুব সামান্যই।
অন্যদিকে এ মুহূর্তে এখানে চীনের কতজন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্টই ধোঁয়াশা রয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র প্রকাশিত সংখ্যাটি হলো তিন হাজার। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ সীমান্তে সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান আরো মজবুত করে তোলার কথা জানিয়েছিলেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে সৈন্য সংখ্যা বা তাদের মোতায়েনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি। এ মুহূর্তে সবচেয়ে আশঙ্কা সৃষ্টিকারী বিষয়টি হলো, তিব্বতে চীনের সামরিক মহড়া। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় নেয়া এ মহড়ায় অ্যান্টি-ট্যাংক গ্রেনেড, মিসাইল ও হালকা আর্টিলারি (হাউইটজার) ব্যবহার করেছে চীন। গুজব রয়েছে মহড়ায় চীন উদ্ভাবিত সম্পূর্ণ নতুন এক লাইট ট্যাংক ব্যবহার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দোকলামে দুই পক্ষের কেউই কোনো ধরনের যুদ্ধবিমান, ভারী আর্টিলারি বা যানবাহন মোতায়েন করেনি বলে জানা গেছে।
দোকলামের মতো জায়গায় সবচেয়ে কার্যকর যুদ্ধকৌশল হলো, স্থলবাহিনীর দখল ও অবস্থান স্থায়ী করা। সৈন্যদের এখানে দীর্ঘকাল অবস্থান ধরে রাখতে হলে রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যকরভাবে চালু রাখতে হবে। সৈন্যদের দীর্ঘকালীন অবস্থান শুধু যুদ্ধকালীন না, যুদ্ধপরবর্তী সময়ের দখল ধরে রাখার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সৈন্যদের দীর্ঘকালীন অবস্থান এখানকার ভূপ্রকৃতি, রসদ সরবরাহ ও আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। দোকলামের মতো জায়গায় যুদ্ধ চালানোর বিষয়টিকে অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও কঠিন করে তুলেছে এখানকার আবহাওয়া ও ভূপ্রকৃতি।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪ হাজার ফুট উপরের অঞ্চলটি পর্বত দিয়ে ঘেরা। এমনকি এখানকার সবচেয়ে নিচু এলাকাটিও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উপরে। ফলে সৈন্যদের ওপর এক ধরনের শারীরিক চাপ এমনিতেই তৈরি হবে। অঞ্চলটির সর্বোচ্চ এলাকায় প্রবেশ করতেও যে কারো সময় লাগবে অন্তত ৮-৯ দিন। ভূপৃষ্ঠের উচ্চতাজনিত শ্রান্তি ও অন্যান্য সমস্যার কারণে এখানে লড়াই চালানো সমতলের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন।
গ্রীষ্মকালে এখানকার তাপমাত্রা পৌঁছে ৫০-৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। শীতকালে তাপমাত্রা নেমে আসে শূন্যের নিচে। অন্যদিকে উভয় সামরিক বাহিনীর জন্য আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও অনেক কম। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সৈন্যদের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। ফলে সৈন্যদের লড়ার সক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট বেশি।
সবমিলে এখানে যুদ্ধ চালানো দুই পক্ষের জন্যই বেশ কষ্টকর। যেই জিতুক না কেন, উভয়পক্ষকেই এখানে অর্থ, রসদ সরবরাহ ও সৈন্য হারাতে হবে প্রচুর।
লড়াইয়ে এলাকার দখল যেই নিক না কেন, কিছুটা কৌশলগত সুবিধা যে পাবে; তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এ সুবিধা কাজে লাগানোর মতো পরিস্থিতিতে নেই কেউই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন দেশের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণকে আরো কেন্দ্রীভূত করে তুলছেন। একই সঙ্গে চাইছেন দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করে তুলতে। কিন্তু এ মুহূর্তে এ ধরনের লড়াই তার সব প্রয়াসকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারে।
অন্যদিকে নিজের জ্বালায় ভুগছে চীন নিজেও। দেশটি কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক শ্লথতায় ভুগছে। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কোরীয় উপদ্বীপে যেকোনো সময় লেগে যেতে পারে বড় ধরনের সংঘাত। সবমিলে এখন দোলাম মালভূমির চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে চিন্তিত বেইজিং।
দুই দেশের কাছেই দোকলাম মালভূমি অঞ্চলের গুরুত্ব কম নয়। কিন্তু তা এ মুহূর্তে মুখোমুখি হওয়া অন্যসব ইস্যুর গুরুত্বকে একেবারে ঢেকে দেয়ার মতো জোরালোও না। এ মুহূর্তে যুদ্ধ বাধানোটা আসলে কারো জন্যই খুব একটা ন্যায্য বলে মনে করা হচ্ছে না।