নিষেধাজ্ঞা ও পরাশক্তিদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে একের পর এক অত্যাধুনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। প্রত্যেকটি মিসাইলের পরীক্ষা সফল হওয়াতে একদিকে যেমন উচ্ছ্বসিত তেমনই আত্মবিশ্বাসী পিয়ংইয়ং।
আর এরপরেই উত্তর কোরিয়ার হুমকি, আমেরিকার ওপর হামলা চালানোর হুমকি থেকে পিয়ংইয়ং কখনই সরে আসবে না।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একের পর এক মিসাইল পরীক্ষার মাধ্যমে আমেরিকাকে একথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পিয়ংইয়ংয়ের ওপর হামলা চালানোর যে ‘বোকামিপূর্ণ স্বপ্ন’ ওয়াশিংটন দেখত তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত হুমকির কারণে এই পরীক্ষা চালাতে বাধ্য হয়েছে উত্তর কোরিয়া। এই ধরনের হুমকির কারণেই দেশটি নিজের সমরাস্ত্র কর্মসূচি শক্তিশালী করেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বক্তব্য রাখেন। সেইসঙ্গে তিনি চীনকে উদ্দেশ করে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রতিশ্রুতি বেইজিং দিয়েছিল তা দেশটি বাস্তবায়ন করছে না।
ট্রাম্পের ওই হুমকির কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়া ১০,০০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়ে জানায়, গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আওতায় চলে এসেছে। উত্তর কোরিয়া দৃশ্যত এই পরীক্ষার মাধ্যমে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া পিয়ংইয়ং বিরোধী নিষেধাজ্ঞারও জবাব দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া আরও জানায়, দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি থেকে ওয়াশিংটনকে সরে যেতে হবে। এ ছাড়া, বিবৃতিতে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে অর্থহীন বক্তব্য দেওয়া থেকে মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়।