ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক হোসেনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ দুপুরে এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল ১। মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় এটি ত্রয়োদশ রায়। রায়ে বলা হয়, মোবারকের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদ- এবং তিন নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে ৯২ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনানো হয়। রায় ঘোষণার জন্য সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামি মোবারককে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক এজলাসে বসেন বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে। একাত্তরে মোবারক ও তার সহযোগীদের হাতে নিহত আব্দুল খালেকের মেয়ে খোদেজা বেগম ২০০৯ সালের ৩রা মে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন। ওই বছরের ১৩ই মে মোবারক হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের আগাম জামিন নেন। এরপর কয়েক দফা জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০১২ সালের ৬ই জুন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলাটি ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। ওই বছরের ১৬ই জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ২২শে জানুয়ারি পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত বছরের ২৫শে ফেব্রুয়ারি মোবারকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। ১২ই মার্চ অভিযোগ আমলে নিয়ে জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১৩ সালের ২৩শে এপ্রিল যুদ্ধাপরাধের পাঁচ ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মোবারকের বিচার শুরু হয়। মামলায় মোবারকের বিরুদ্ধে ১২জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।