বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই পুলিশ ধর্ষক প্রেমিক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে। আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ইউনিয়নের মহব্বতেরপাড়া গ্রামের শাহ আলম ব্যাপারীর মেয়ে ও স্থানীয় আব্দুল মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) পাশ্ববর্তী বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ওসমান গনী সরকারের ছেলে তায়েফ (২২) এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর প্রেমিক তায়েফ বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে স্কুল ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রী বাড়িতে একা থাকার সুযোগে তায়েফ তার শয়ন ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই স্কুল ছাত্রী প্রেমিক তায়েফকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তালবাহানা করতে থাকে।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা শাহ আলম ব্যাপারী বাদী হয়ে ধর্ষক প্রেমিক তার বাবা-মাসহ ৫ জনকে আসামি করে সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই রাতেই প্রেমিক তায়েফ ও তার সহযোগী একই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে হাসান আলীকে (২৩) গ্রেফতার করে আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলাম মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।