ভিয়েনা আলোচনার সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব

সারাবিশ্ব

image_154787.aইরানের পারমানবিক কর্মসূচি বন্ধে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে সোমবারের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভাদ জারিফের কাছে এ প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
এর আগে গতকাল রবিবার ভিয়েনা বৈঠকে দিনভর আলোচনা করেও পশ্চিমা শক্তিগুলো ইরানের সঙ্গে কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। তবে, চুক্তিতে পৌঁছানো নিয়ে গতকাল সারাদিনই ভিয়েনায় বিভিন্ন গুজব শোনা যায়। ভিয়েনা আলোচনায় গতকাল পরস্পরবিরোধী নানারকম খবর পাওয়া যায়। এসব গুজবের মধ্যে ছিল সমঝোতার খুব কাছে পৌঁছেছে উভয় পক্ষ- এমন খবরও। তবে তেমন কিছু ঘটেনি বলে পরক্ষণেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও রবিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষই জানায়, তাঁরা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে সামগ্রিক পরমাণু চুক্তির সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করছেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া কূটনীতিকরা বলছেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া- এ দুটি মূল বিষয়েই উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে। আলোচনায় এখনও কোনরকম ঐক্যমত্যের কোন আভাস দেখছেন না তাঁরা।
এদিকে, ইরানের সাধারণ নাগরিকরাও এ চুক্তির ব্যাপারে খুব আশাবাদী নন। তারা বলছেন, ইরান বা পশ্চিমের দেশগুলোর কেউই বিষয়টি নিয়ে স্বচ্ছ নয়। ইরান যেহেতু পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করেছে। তাই, ইরানের অধিকারের প্রতি পশ্চিমাদের সম্মান জানানো উচিত বলে মনে করেন তারা। এ ছাড়া ইরানেরও পশ্চিমের দেশগুলোর কাছ থেকে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তারা।
এদিকে, মঙ্গলবার ইরানের সঙ্গে চূড়ান্ত দফা আলোচনা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং চীন। ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে দেশটিকে পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করতে রাজি করানোর জন্য একটি চুক্তি সই করাই হবে এ আলোচনার মূল লক্ষ্য। ইরান বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির আড়ালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *