গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দশ মাস বয়সী জোড়া শিশুকে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা তৌফা ও তহুরার জ্ঞান ফিরেছে। এমনকি কান্নাকাটিও করেছে তারা।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তাদের জ্ঞাত ফেরার এই তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক শাহনূর ইসলাম।
২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখর কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জটিল এই অস্ত্রোপচার শেষে যমজ এই দুই শিশুকে বর্তমানে পোস্ট অপারেটিভ বিভাগে রাখা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক দল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালে শিশু সার্জারি অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী বলেন, বাচ্চা দুটিকে সিপারেট করা হয়েছে। তবে এখনো অপারেশন শেষ হয়নি। শেষ হতে আরো ২-৩ ঘণ্টা সময় লাগবে। বাচ্চা দুটি ভালো আছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন ইউনিয়নের কৃষক রাজু মিয়া ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগমের যমজ সন্তানের জন্ম হয় জোড়া লাগানো শরীর নিয়ে। তোফা আর তহুরার পিঠের দিক থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত মেরুদণ্ডের হাড় সংযুক্ত ছিল। মাথা-হাত-পা আলাদা হলেও তাদের মলদ্বার ছিল একটি।