পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে দুর্নীতির দায়ে পদচ্যুত করার পর এবার বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা একটি দুর্নীতি ও অর্থপাচার মামলার শুনানি শুরু করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই শুনানি শুরু হয়।
দেশের বাইরে অফশোর কোম্পানিতে তার অংশ আছে কিনা এবং সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে ইমরান খানের সংসদ সদস্যপদ বাতিল এবং তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) সভাপতি নওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি তথ্য গোপন করে পার্লামেন্ট এবং আদালতের প্রতি ‘অসততা’ করেছেন। এ কারণে তিনি সর্বোচ্চ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এদিকে, পাকিস্তান তেহরিক ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের বিরুদ্ধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেছিলেন পিএমএল-এন এর সিনিয়র কর্মকর্তা হানিফ আব্বাসি।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং বিদেশি কোম্পানিতে সম্পদের তথ্যও গোপন রেখেছেন।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা সেই পিটিশনে আরো অভিযোগ আনা হয়, ইমরান খান বিদেশি সংস্থা থেকে সাহায্য গ্রহণ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক দল কর্তৃক বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তির কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন।
সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে প্রতিপক্ষ নওয়াজ শরীফের মতো এবার ইমরান খানও কি ফেঁসে যাচ্ছেন?