দক্ষিণ এশিয়াতে আরও দেশ আছে

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

744চারিদিকে এখন কোলাবোরেশন, কো-প্রোডাকশন এই সব নিয়ে কথা হচ্ছে। যেটা খুবই স্বাস্থ্যকর। মেইনস্ট্রিম ফর্মুলা ছবিগুলোর যতোখানি না দরকার, এই ধরনের কোলাবোরেশন তার চেয়ে বেশি দরকার অঁতর ছবিগুলোর, যারা নিজের ফর্মুলায় গল্প বলতে চান।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে মুশকিল হলো, আমরা যৌথ প্রযোজনা বলতে কেবল ভারত, বা আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে, কোলকাতা বুঝি। সময় এসেছে বোঝার যে দক্ষিণ এশিয়াতে আরো দেশ আছে। নেপাল তার মাঝে অন্যতম। নেপাল এবং বাংলাদেশের চিত্রভাষা তৈরির লড়াইয়ে একটা মিল আছে যে, দুই দেশই বলিউড স্কুলের ছায়ার তল থেকে বের হয়ে নিজের ঢংয়ে গল্প বলার চেষ্টা করছে। গত কয়েক বছরে নেপালের অর্জন ঈর্ষণীয়। ভেনিস-বার্লিনে ওদের ফিচার ফিল্ম গেছে, যেটা আমরা পারিনি। আবার আমাদের অনেক অর্জন আছে যেটা হয়তো ওরা পারেনি। কিন্তু আমাদের দুই দেশেরই দর্শক আছে, গল্প আছে, গল্প বলার মানুষও বাড়ছে।

আমি মনে করি, দুই দেশের সরকারেরই এই বিষয়ে নজর দেয়া প্রয়োজন, যাতে বাংলাদেশ-নেপাল কোপ্রোডাকশনের পাশাপাশি দুই দেশের ছবি দুই দেশে রিলিজের একটা বন্দোবস্ত যেন করা যায়।

এবারের “একাদেশমা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে” নেপাল ফোকাস কান্ট্রি করেছে বাংলাদেশকে। তরুণ ফিল্মমেকার ভাই-বোনেরা, আপানাদের শর্ট ফিল্ম নির্ধারিত সময়ে জমা দিন। প্রতিযোগিতার ফল যাই হোক, লেটস লিভ আ মার্ক। এবং এই উৎসবের মধ্য দিয়ে নেপাল-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনা এবং বাজার সম্প্রসারণের আলোচনা শুরু হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *