এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ ঃ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও অছাত্রদের নিয়ে পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঢাকা এবং বিদেশ থাকেন এমন ব্যক্তিদেরও এই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। আর এ কারণে কমিটি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে অনেক ত্যাগী নেতা আশানুরুপ পদ না পেয়ে পদত্যাগ করেছেন।
জানাগেছে, ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটনকে সভাপতি ও আলীউজ্জামান জামিরকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগ ২ সদস্য বিশিষ্ট কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করেন। এই কমিটি গঠনের আড়াই বছর পর চলতি বছরের ১৫ জুলাই ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন জেলা ছাত্রলীগ।
অভিযোগ রয়েছে, কমিটিতে অনুপ রতœ, ইমরান সিকদার, সজল কর, মনির হোসেন মুনাব্বার কে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। এদের কারোরই ছাত্রত্ব নেই।
এছাড়া কমিটিতে ব্যবসীয় আলিউজ্জামান আলীকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ও সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সুমন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এবং হাসিবুল হাসান প্রিন্স ঢাকায় থাকেন। অপরদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জুলহাস ইসলাম বিবাহীত, এক সন্তানের জনক ও ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে এদেরকে পদ দেওয়া হয়েছে। আর এ কারণে পূর্নাঙ্গ কমিটির এক সপ্তাহের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লালন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলীম সজিব পদত্যাগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পদ বঞ্চিত এক নেতা বলেন, ছাত্রলীগের সমস্ত কর্মকান্ডের সাথে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থেকেও পদ পেলাম না। অর্থ এবং স্বজনপ্রীতির কাছে হেরেগেছি।
অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়ার কথা অস্বীকার করে কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বলেন, সাজ্জাদ সুমন শীঘ্রই দেশে ফিরে আসবেন। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লালন শেখ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে তাকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এবং বিবাহীত যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছে তাদেরকে বহিস্কার করা হবে।এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, অছাত্র, বিবাহীত ও ব্যবসায়ীদের পৌর কমিটিতে রাখা হলে যাচাই বাছাই করে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।